কামরুজ্জামান, ,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলায় ফের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন জলঢাকা থানার ওসি মুক্তারুল আলম । এ নিয়ে ৭ম বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা পদকে ভূষিত হলেন তিনি।গত জানুয়ারী মাসে সাজাপ্রাপ্ত ও বিভিন্ন ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, মামলার রহস্য উদঘাটন, মামলা নিষ্পত্তি সহ উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী )বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় তাকে এই কৃতিত্বের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম সবুর ।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস)মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নীলফামারী সদর সার্কেল) মোস্তফা মন্জুর,সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সহ জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ওসি মুক্তারুল আলম জেলার জলঢাকা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে ২০/০৬/২০২৩ইং যোগদানের পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে এত কম সময়ে জেলার অন্য কোন থানার ওসি ৭ম বারের মতো জেলায় শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হতে পারেনি। যেটা জলঢাকা থানার ওসি মুক্তারুল আলম পেরেছেন।
৭ম বারের মতো পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, পুরস্কারটি পেয়ে আমি খুবই খুশি এবং অনুপ্রাণিত। এ পুরস্কারটি আমার দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই পুরস্কার জলঢাকাবাসী সহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও থানায় কর্মরত সকল অফিসার ফোর্সের অর্জন। এই পুরস্কার আমার এবং আমার অফিসার ফোর্স এর কর্মস্পৃহাকে আরো বেগবান করে তুলবে। আগামী দিনগুলোতে অত্র থানাকে একটি জনবান্ধব থানায় পরিণত করতে আমি সার্বিক ভাবে কাজ করে যাব।
এসময় তিনি জলঢাকা থানাকে একটি মডেল থানায় রূপান্তর করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে আরও বলেন, দোয়া চাই জীবনের বাকি দিনগুলো ভাল কাজ করার। এলাকার জনগনকে শান্তিতে রাখতে, মাদক নির্মুলে, সন্ত্রাস নির্মূলে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য ওসি মুক্তারুল আলম জলঢাকা থানায় যোগদানের পর হইতে মাদক ব্যবসায়ী,সেবনকারী,জুয়ারু,ছিনতাইকারী,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সকল মহলে প্রশংসিত হন।