নোয়াখালীর মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত উপকূলীয় উপজেলার নাম সুবর্ণচর।গত কয়েক বছর থেকে এ উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণারে মেঘনার তীরে জেগে ওঠেছে প্রায় কয়েক হাজার একর নতুন চর।স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা একাধিক দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে ভূয়া ভূমিহীন পরিবারকে এসব জমিতে ঘর নির্মাণের সুযোগ দিয়ে একর প্রতি ৫০-৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে,মাত্র ৫ টাকা দামে স্টাম্পের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার এসব খাস জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চর আক্রামে জেগে উঠা কয়েক হাজার একর খাস ভূমিতে বসবাসকারী একাধিক ভূয়া ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছে।কথিত ভূমিহীনদের থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।ভূমিহীন জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নুরবানু,মোঃ খলিলের স্ত্রী মারজাহান,মোঃশরীফের স্ত্রী রহিমা আক্তার রাহেনা ও মো:জলিল’সহ আরো অনেকে এসব অভিযোগ করে বলেন।
এ দিকে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী,তার ভাতিজা মো:ফারুক,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক মোঃ কামরুল,ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক,ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ইউছুপ,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সামছুউদ্দিন নেতা’সহ আরো অনেকে এ জমি গুলো শুধু মাত্র একটি স্টাম্পের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিহীনদের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি করে আসছে।
বর্তমানে ৮নং মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ আরিফুর রহমান জানান,বিষয়টি তিনি অবগত না।গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি।এমন অভিযোগের পেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।