খন্দকার জলিল – স্টাফ রিপোর্টার :
কিছুদিন ধরে সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীতে রোদের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অসস্তিকর পরিস্থিতি। স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তাদের জীবন যাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে বইছে তীব্র তাপদাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অসহনীয় গরমের তীব্রতা। খেটে খাওয়া কিংবা দিনমজুর মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। জীবনের তাগিদে তীব্র গরম সহ্য করে চালিয়ে নিতে হচ্ছে জীবিকা নির্বাহের কাজ।
বৈশাখের শুরু থেকেই ভয়াবহ তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন।
এরই মধ্যে জেলার বেশ কিছু কিছু স্থানে দেখা দেয় বিদ্যুতের পালাই পালাই খেলা। বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ সঙ্কটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ বয়সী ও শিশুরা। প্রচন্ড গরমে মাঠে ঘাটে কাজ করতে না পেরে বিপাকে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। গরমে পানিশূন্যতায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হঠাৎ তীব্র গরম বেড়ে যাওয়ায় পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যান চালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পটুয়াখালীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেল অসহনীয় গরম আর তাপপ্রবাহের মাত্রা বাড়তে থাকার সাথে সাথে ব্যহত হয়ে পড়েছেন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার মান।
তীব্র গরমে কষ্ট হলেও ব্যস্ত চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ কর্মজীবী মানুষ। গরম উপেক্ষা করে তারা ঘর থেকে বের হলেও খুঁজে বেড়াচ্ছেন একটু শীতল ছায়া এক গ্লাস ঠান্ডা লেবু সরবত। আবার অনেকে অপেক্ষা করছেন কখন আসবেন একটু শীতল হাওয়া এক পশলা বৃষ্টি। অনেকেই আবার অতিরিক্ত গরমের কারনে ঘর থেকে কম বের হতে দেখা গেছে।
আজ (১৫মে) বৃহস্পপতিবার বেলা ২:০০ ঘটিকার সময় টুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর এলাকায় পলিটেকনিক কলেজে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীকে দেখা যায় কলেজ ছুটি হওয়ার পরে রোদের তীব্রতায় বই খাতা মাথায় যেতে দেখা যায়। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় উপর থেকে রোদের যেমন তাপ তেমনি নীচের পিচঢালা রাস্তা ফেটে ভেসে উঠা ভ্যপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়েগেছি। অপেক্ষা করতেছি কখন আসবে একটু স্বস্তির বৃষ্টি।