বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর মহিপুরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের দাপট” সরকারি খালে মাছের ঘের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪২ বার পঠিত

 

ক্রাইম রিপোর্টার : মোঃ রুবেল ইসলাম সিডর:
পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকায় ৭নং লতাচাবলী ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের দিয়ার আমখোলায় সরকারি একটি খাল বাঁধ দিয়ে এটি দখল
করে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী লতাচাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা

এদিকে বাঁধ দেওয়ার কারণে খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। মাছ চাষের কারণে গত শুকনা মৌসুমে এই খালের পানি সেচকাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। এখন বৃষ্টির পানিতে খালের দুই পাড়ের ফসলি জমিতে পানিতে জমে আছে। স্থানীয় কৃষকরা এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার ৭নং লতাচাবলী ইউনিয়নের দিয়ার আমখোলা গ্রামের পাস দিয়ে খালটি প্রবাহিত হয়েছে। একসময়ের খরস্রোতা এই খালে বাঁধ দেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খালের দুই পাড়ের শতাধিক কৃষক। খালটি দখলমুক্ত করতে কৃষকদের দাবি

খালটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ প্রায় ১০০০-১৫০ ফুট। খালের মূল শাখা ও উপশাখা (নালা) দখল করে বাঁধ দেওয়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, লতাচাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা কয়েক বছর আগে খালটির দুই প্রান্তের বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটির কয়েকটি স্থানে বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি বড় পুকুর ও ঘেরে পরিণত হয়েছে। সেখানে গলদা চিংড়ি, রুই, কাতলা,ও পাঙ্গাস মাছসহ দেশি প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা, বলেন খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে এখন বর্ষার পানিতে খেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘের বানিয়ে খালে লবণ পানি ঢোকানো হচ্ছে। এ কারণে ওই সব ঘের–সংলগ্ন কৃষিজমিতে এখন চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। প্রভাবশালীরা খাল দখল করায় তাঁরা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

স্থানীয়রা আরো বলেন, তরমুজ আবাদে কৃষক পানিসংকটে ভোগেন। আমন মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বীজতলা করতে পারছেন না কৃষকরা। জনস্বার্থে খালটি দখলমুক্ত করে উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। এদিকে খাল দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কোনোভাবেই সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991