
খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে তালিকায় স্থান পায়নি পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, জোটের সমন্বয়ের কারণে কয়েকটি আসন আপাতত ফাঁকা রাখা হয়েছে, যার মধ্যে গলাচিপা-দশমিনা অন্যতম। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকরা। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গলাচিপা পূর্ব বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পূর্ব বাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন খানসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, হাসান মামুনকে মনোনয়ন না দিলে টাকা দাখিলের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন বিক্ষোভ চলবে। স্থানীয় নেতারা আরও বলেন, হাসান মামুন বহু বছর ধরে বিএনপির সংগঠনকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করে রেখেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে গলাচিপা-দশমিনায় বিএনপি সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিল। এমন একজন ত্যাগী নেতাকে উপেক্ষা করলে সংগঠন বড় ধরনের ভাঙনের মুখে পড়বে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির তৃণমূল কাঠামো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। যা ভবিষ্যতে বিএনপির অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।