নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নওগাঁর পত্নীতলায় অবৈধ সম্পত্তি দখল করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।অভিযোগে শ্রী বিকাশ চন্দ্র মহান্ত ও সমির কুমার মহান্ত বলেন-আমরা পত্নীতলা উপজেলাধীন নজিপুর পৌরসভার চাঁদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা
আমাদের প্রায় একশত বৎসর যাবৎ দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি যা আজও আমরা দখলে আছি।বিগত ৪৫ বৎসর পূর্বে আমাদের শরীক শ্রী শিশির কুমার মহান্ত (মুকুল) এর নিকট হইতে ৬৮৮১ নং দলিল মূলে প্রাপ্ত হই।উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরিত করার পর শ্রী শিশির কুমার মাহান্ত (মুকুল) তারা স্ব-পরিবারে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চিরস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে যায় এবং তিনি ভারতেই মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তার ওরসজাত পাচ ছেলে ও এক মেয়ে রাখিয়া মারা যান। তারা সকলেই ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা। পরবর্তীতে জনৈক নারায়ণ চন্দ্রের কু- পরামর্শে প্রতিপক্ষ মোঃ হায়দার আলী আমমোক্তার দেখিয়ে প্রায়ত শিশিরের পাঁচ ছেলের দ্বিতীয় পুত্র সমর কুমার মহন্তের নিকট গ্রহণ করে।যেখানে শ্রী শিশির কুমার মহন্ত (মুকুল) ১৯৮১ সালে সমুদয় সম্পত্তি বিক্রয় করে। উক্ত জমির মালিকানা থেকে স্বত্ব হারিয়ে ফেলে নিঃশর্তবান হয়ে যায়। অন্য অংশীদার দাতা কি করে ওই জমির মালিক হয়।
বিধায় সমর কুমার মহন্তের সম্পাদনকৃত দলিলের কোন বৈধতা নাই।বর্তমানে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস করেন। প্রতিপক্ষের ভুয়া এন আই ডি ও পাওয়ার অফ এটোনী দেখিয়ে আমাদের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে। উল্লেখ্য উক্ত সম্পত্তি খারিজ খাজনা বৈধ করে ওই জমির উপর সিসি ঋণ ব্যাংক থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নওগাঁ-২ অধিগ্রহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি দলিল মূলে প্রদান করা হয়। এতে করে আমাদের নিষ্কন্ঠক বলে প্রমাণিত হয়। উক্ত সম্পত্তিতে মোঃ হায়দার আলী গত ইং ১৫/০৭/২০২২তারিখে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আমরা নওগাঁ সহকারী জজ আদালতে ২৯৫/২২ নং মামলা দায়ের করি এবং মামলায় আমাদের পক্ষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলাটি আদালতে চলমান রহিয়াছে। আমাদের খাজনা খারিজ কৃত সম্পত্তিতে গত ১৪/০২/২০২৩ তারিখে তাহার অকেজো গাড়ি রাখিয়া জবর দখলের চেষ্টা করে। এবং আমাদের বর্গাদারদের বিভিন্ন ভাবে চাষাবাদের বাধা প্রদান করে, গভীর নলকূপ থেকে পানি বন্টন বন্ধ করে দেন।
বর্তমানে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। উক্ত ভুক্তভোগীরা সুবিচার পাওয়ার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য অনুরোধ জানাই এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সু বিচারের লক্ষ্যে এবিষয়ে বিবাদী হায়দার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান এর আগে তারা কোর্টে একটি মামলা করেছিল ২০১৭ সালের মামলা করে তারা ২০২১ সালে মহামান্য আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয় এবং যার যার জমিতে তাকে তাকে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত যার কারনে আমার জমিতে আমি আছি বলে জানান তিনি।