পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে বাকি মাত্র এক সপ্তাহ।
এরইমধ্যে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, আটা, ময়দাসহ অন্তত ১৫ ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে ছোলা ও খেজুরের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল প্রতিকেজি ৪০/৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাস আগে মাত্র ৩৪ টাকায় এক কেজি মোটা চাল পাওয়া যেতো। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি’র হিসাবেই বলা হচ্ছে, গত এক মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ। শুধু মোটা চাল নয়, গত এক মাসে সরু চালের দামও বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। একইভাবে এই এক মাসের ব্যবধানে ময়দার (খোলা) দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। পেঁয়াজের দাম ৩৫ শতাংশের বেশি, আর রসুনের দাম বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। রমজান মাসের অতি প্রয়োজনীয় খেজুর কেজিতে ২৩ শতাংশ, ছোলা কেজিতে ১৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
এছাড়া শুকনো মরিচ ২৮ শতাংশ, হলুদ ২৬ শতাংশ, আদা ১৩০ শতাংশ, লবঙ্গ ১৬ শতাংশ, তেজপাতার ২২ শতাংশ দাম বেড়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এখন সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পাম তেলের (খোলা) দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। পাম (সুপার) তেলের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এক বছরের তুলনায় চিনির দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আগের মতো পণ্য সরবরাহ হচ্ছে না। তাছাড়া পণ্যগুলো আনতে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ রাস্তায় পুলিশের পকেট ভরা ইত্যাদি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজানকে কেন্দ্র করে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, অস্বাভাবিক বেড়েছে পেঁয়াজ-আদা ও রসুনের দাম। ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না তারা। অনেককে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। অস্বাভাবিক বেড়েছে আদার দাম। মসলা জাতীয় এই পণ্যটি এখন ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে কষ্টে পড়ে যাচ্ছে মধ্যবৃত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষ গুলো। তাই বাজার স্বাভাবিক রাখতে মনিটরিং টিম মাঠে নামানো দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply