শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে বাস ট্রাক-মোটরসাইকেল ত্রিমুখী সংঘর্ষ প্রান গেল ৩ ব্যক্তির।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১২৩ বার পঠিত

রানা ইস্কান্দার রহমান গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধান:গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢাকা রংপুর মহাসড়কের চৌমাথা মোড়ে নৈশ কোচ -ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ৩ জন প্রান হারিয়েছেন। এ ছাড়া ২ জন হয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা যায়, ঢাকা থেকে রংপুর অভিমুখে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের বারাকাত ব্যানারের দ্রুতগামী একটি নৈশ্য কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-২৮০৭) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পলাশবাড়ী চৌমাথা মোড়ে পৌছিলে ঘোড়াঘাট রোড থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে প্রথমে চাপা দেয় এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক সুবাস চন্দ্র (৩৫) ও আরোহী সুমন চন্দ্র (৪০) নামের ২ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এরপর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২য় বারের মত গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৬-২৪০৩) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত । এতে ট্রাকটি দুমরে যায়। বাসের অতিরিক্ত গতি থাকায় তৃতীয় দফায় বাসটি আবারো একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ ( ৪০) নামে আরো একজন মোটর সাইকেল চালক নিহত হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়ায় ৩ জন ও আহত হয়েছে আরো ২ জন।

নিহতরা পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের গনেশ চন্দ্রের ছেলে সুবাস চন্দ্র (৩৫), একই উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বাদশা ড্রাইভারের ছেলে বিদুৎ (৪০) ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অভিরামপুর গ্রামের সুবাস চন্দ্রের ছেলে সুমন চন্দ্র। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
প্রত্যক্ষদর্শী পলাশবাড়ী চৌমাথা ফল ব্যবসায়ী আঃ মান্নান জানান, গাড়ীর অতিরিক্ত গতি থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। কাজের সন্ধানে চৌমাথা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী খলিলুর রহমান জানান, বাস চালক নিদ্রাচ্ছন্ন থাকায় এই দূর্ঘটনার মূল কারণ। মোটর সাইকেল ও ট্রাক চালক সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিল।সঙ্গে সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে তাদের বাচানো যেতো।

এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা সাংবাদিকদের জানান, নৈশ কোচ-ট্রাক ও মোটরসাইকেল গুলো আটক করা হয়েছে। বাস ও ট্রাক চালক পালতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার তিনটি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাসড়কের উপর প্রতিনিয়ত ছোট বড় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান যাচ্ছেন চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের । এ মহাসড়কটির পাশে একটি ট্রমা সেন্টার ও বিশ্বশায়িত হাসপাতাল থাকলে র্দূঘটনায় হতাহত মানুষ গুলোর প্রান রক্ষা করা সম্ভব হতো বলে মনে করেন সর্বস্তরের মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991