শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
ঘোষনা
রাষ্ট্রের স্বার্থেই সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত  ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। শাহজাদপুরে মসজিদের মাইক থেকে ডাক, চার গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অন্তত ১০ রপ্তানির সম্ভাবনায় আম বাগান পরিদর্শনে  ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান শিক্ষকদের ছয় দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক দেশব্যাপী সাংবাদিকদের কলম বিরতি পালনের আহবান বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির দেশব্যাপী সাংবাদিকদের কলম বিরতি পালনের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র চলছে – মোস্তফা জামান 

পলাশবাড়ীর মাঠেরহাটে গড়ে ওঠা পশুরহাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২
  • ২২৩ বার পঠিত

জোবায়দুর রহমান জুয়েল গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠেরহাট পশুরহাটে খাজনা বা হাসিল আদায়ে কোনো নিয়ম- মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাটের ইজারাদাররা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের কাছ থেকেই খাজনা বা হাসিল আদায় করছেন। এমনকি হাটে টাঙানো হয়নি সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায়ের তালিকাও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা হাট-বাজারের নতুন হাসিল রেট অনুসারে প্রতিটি গরু ৪০০ টাকা ও ছাগল ১৫০ টাকা হাসিল বা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই খাজনাও দেবেন কেবল ক্রেতা। বিক্রেতা কোনো হাসিল বা খাজনা দেবেন না। অথচ এই কথার কোনো মূল্য দিচ্ছেই না ইজারদার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গরু ক্রেতার কাছ থেকে ৮’শ টাকা, বিক্রেতার কাছ থেকে ২’শ টাকা, প্রতিটি ছাগল ক্রেতার কাছ থেকে ৪’শ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২’শ টাকা করে আদায় করছেন। পশুরহাটে খাজনা আদায়ের তালিকা টাঙানোর বিষয়ে ইজারাদারদের প্রতি সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। ফলে তারা শুধু পশুর হাট থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতা

একই চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধা জেলার অন্যান্য পশুর হাট গুলোতেও। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত মনগড়াভাবে খাজনার নাম দিয়ে অর্থ লুটে নিচ্ছে ইজারাদাররা।

মাঠেরহাট হাটের ফরহাদ মিয়া নামের এক গরু ক্রেতা বলেন, ‘বহু কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি ষাঁড় গরু ক্রয় করার জন্য হাটে এসেছি। গরু কেনার পর ৮০০ টাকা খাজনা দিতে হলো। আমার বাপ-দাদারা হাটে গরু ছাগল কিনেছিল তখন তাদের টাকা লাগে নাই আর এখন হাটে পশু কিনলেও টাকা বিক্রি করলেও টাকা লাগে।’

রফিকুল আলম নামে একজন গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন হাটে গরু কিনলে ৮’শ ও বিক্রি করলে ২’শ টাকা খাজনা দিতে হয়।

মাঠেরহাটে হাটের ইজারাদারের নিয়োগ করা কর্মী মোরর্শেদুল এর কাছে মুঠোফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখে।

এবিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃকামরুজ্জামান নয়ন মুঠোফোনে বলেন, ‘পশুরহাটে খাজনা শুধুমাত্র ক্রেতাই দিবে বিক্রেতা নয়।এ বিষয়ে তিনি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991