স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সাবেক(ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম আঃ ছালামের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্নসাতের দায়ে বিভাগীয় মামলার অধিকতর তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৩ মার্চ-২০২২ ইং রবিবার সকাল১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসে এ তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোঃহাসিবুল আলম গাইবান্ধা জেলারপলাশবাড়ী উপজেলার সাবেক(ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা ও শাস্তি মূলক বদলীর কারণে বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার একেএম আঃ ছালামকে দুর্নীতি ও অর্থ আত্নসাতের দায়ে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়-১ শাখার সহকারী সচিব জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযোগগুলো অধিকতর তদন্ত করেন।
তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হোসেন আলী ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ ফিরোজ কবির আকন্দ,
আসাদুজ্জান দোলন,মোস্তাফিজার রহমান,শফিকুল ইসলাম ও অভিযুক্ত আঃ ছালাম।
বাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃফেরদাউছ মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি রবিউল হোসেন পাতা ও সাবেক সভাপতি শাহ আলম সরকার। বাদী অভিযোগের পক্ষে ২৯১ পাতার তথ্য প্রমাণক ও ১০টি ভিডিও ফুটেজসহ ১টি সিডি ক্লিপ তদন্ত কর্মকর্তার হাতে তুলেদেন।
উল্লেখ্যঃ সাক্ষী হিসেবে ১০ জন প্রধান শিক্ষক তাদের মতামত তুলে ধরে লিখিত জবাব দাখিল করেন। একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১ জন সাক্ষী দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আঃ ছালামের পক্ষে তার মতামত তুলে ধরে লিখিত জবাব দাখিল করেছেন।