পাঁচবিবি উপজেলা প্রতিনিধিঃ হাঁস-মুরগি ছাগল কিংবা গবাদি পশু পালন করে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের কথা অনেক শোনা যায়। তবে কবুতর পালন করে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জন খুব একটা শোনা না গেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের আব্দুস ছামাদ আজাদ এই সাফল্য অর্জন করে দেখিয়েছেন। আব্দুস সামাদ জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দ্রী গ্রামের মৃত্যঃ কাজেম উদ্দিনের ছেলে। এলাকায় তিনি কবুতরপ্রেমী নামেও বেশ পরিচিত।
তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছে কবুতরের খামারটি। সুন্দর পরিবেশে কবুতর পালন করে আব্দুস সামাদ আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন করায় এ অঞ্চলের তরুণ প্রজন্ম ক্রমেই কবুতর পালনে ঝুঁকছে।
আলাদা আলাদা খাঁচায় উন্নত জাতের রং-বেরঙের দেশি-বিদেশি কবুতরের মধ্যে- ফ্রিলবাক, সিরাজি, নরেশ, কোপার, পুটার, বসিয়ানি, ট্যামলার, হলুদ, শিখর ক্যারিয়ার, হোমা সাদা, সো কিং লাল, সো কিং সাদা, মুন্ডিয়ান চকলেট, টেইলমারক হলুদ, টেইলমারক কালো, বোখারা, সারটিন, কাগজি, গ্রিবাজ, টেগোরোলা হলুদ, মুক্ষি জ্যাকোবিন, ক্রীমবারসহ নানা রঙের বিভিন্ন জাতের প্রায় ১৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে এই খামারটিতে।
ইন্টারনেটে দেশি বিদেশি জাতের কবুতরের ছবি দেখে কবুতর পালনের স্বপ্ন দেখে সে। সেই স্বপ্ন থেকেই ২০১৪ সালে মাত্র ১০ জোড়া কবুতর দিয়ে তার এই যাত্রা শুরু। তবে প্রথমে শুধু মাত্র শখের বশেই কবুতর পালন শুরু করেছে বলে জানায় তিনি। সেই শখ এখন লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের প্রায় ১৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। প্রতি জোড়া কবুতর প্রতি মাসে দু-এক জোড়া বাচ্চা দেয়।, কবুতরের খাবার, ঔষুধ এবং অন্য খরচসহ খামারটির পিছনে প্রতি মাসে ব্যয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর প্রতি মাসে কবুতর বিক্রি হয় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। খাবারের মধ্যে- সরিষা, গম, ভুট্টা, কলাই, মুসুরি, মুগডাল, মাসকলাই উল্লেখযোগ্য।
আব্দুস ছামাদ বলেন, কবুতরের খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। বেকারত্ব দূর করার জন্য অনেক শিক্ষিত যুবককে কবুতরের খামার করতে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। তার মতে, পড়ালেখার পাশাপাশি শখ পূরণ ও আয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এই কবুতর পালন করা যেতে পারে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসান আলী, কবুতর পালন শখের বিষয় হলেও কিন্ত লাভজনক। তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা চাকুরীর আশায় বসে না থেকে ছোট-বড় র্ফাম করে বিভিন্ন পশু লালন-পালন করা উচিৎ।