আরিফুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বৃষ্টি নির্ভর আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফশী আউশ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার(২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় এ আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ এর সভাপতিত্বে প্রনোদণা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন,মোস্তফা গোলাম কবির চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ পাথরঘাটা , বিশেষ অতিথি ছিলেন, হাফিজুর রহমান শোহাগ ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, ফাতিমা পারভীন ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, শিশির কুমার বড়াল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শিশির কুমার বড়াল এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতি নিয়ে কর্মসূচির ব্রিফিং করেন কৃষিবিদ শিশির কুমার বড়াল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার । প্রণোদনা কর্মসূচিতে প্রতিজন কৃষক ৫ কেজি উফশী আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার ২০ কেজি করে ডিএপি সার পাচ্ছেন যাতে করে এক বিঘা জমিতে আউশ আবাদ করতে পারেন।
প্রণোদনা কর্মসূচির বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদেরকে বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন করেছে, যেগুলো চাষের ফলে গড় ফলনও বেড়েছে। এক সময় আউশ উৎপাদন সবচেয়ে কম হতো। বিঘাতে মাত্র ২-৩ মণের মতো। সরকারে বিভিন্ন প্রনোদনা ও ভর্তুকি ফলে এবছর অনেক উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে কৃষকেরা আউশ চাষ করতে চাচ্ছে।এতে আমাদের উপজেলায় আউশের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন,পাথরঘাটা কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের কৃষিতে ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে দেশের কৃষিখাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে স্ংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল বলেন,আউশ চাষাবাদ বাড়াতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের আউশ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলার ২ হাজার জন কৃষককে ধানবীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকরা যথাযথ চাষাবাদ করলে একদিকে আউশ ধানের ফলন বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে কৃষকের খাদ্য চাহিদা মেটানোসহ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।