এস,এম, মোশারফঃ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের পালিত হলো দুই দিনব্যাপী অনলাইন নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান করোনা মহামারী নিয়ে কতজন কতরকম সামাজিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।তেমনি ঐ করোনা মহামারী নিয়ে ভিন্ন ধরনের কাজ করছেন বিগত ২ বছর পূর্বে তৈরী করা সীতাকুণ্ড থানার অন্তর্গত মুরাদপুর ইউনিয়নের একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন মুরাদপুর বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ নামের একটি সংগঠন।যারা মুজিব শতবর্ষপূর্তির দিনেই তাদের কর্মপরিকল্পনা সুন্দর ও শুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়েই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা যেমন করোনা মোকাবিলায় প্রথম দিকে সবারই মত পুরো ইউনিয়ন ব্যাপি জীবাণু নাষক স্প্রে করা,দারিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং একইসাথে অবসর সময়ে যুবকদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ও মাস্ক বিতরণ এবং গ্রামের মানুষদের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্নরকম কর্মসূচি পালন করে আসছেন।কিন্তু তাদের মাঝে এবার দেখা যায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের যে অনলাইন নিবন্ধন করা হয় তা ফ্রি-তে করে দেওয়া ও সাথে ফ্রি-তে ভ্যাকসিন কার্ড প্রদানের মত ভিন্নরকম কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ।
এ বিষয়ে উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সজীব এর সাথে যোগাযোগ করে এরকম ভিন্নধরনের কার্যক্রমের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান মূলত এই ধরনের ব্যাতিক্রম ও সৃজনশীল কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।তবে আমাদের সভাপতি সাহেব এস,এম,মোশাররফ হোসেন হঠাৎ আমাদের কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করেই সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহতাসিন ইরফান রাজিন সাহেব কে দিয়ে একটি অনলাইন মিটিং এর আয়োজন করেন।বিষয় ছিল কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান।
এ নিয়ে মিটিং চলাকালীন সবাই সম্পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে,আমাদের সীতাকুন্ড উপজেলায় বিভিন্ন মেডিকেলে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অত্র এলাকার জনগণ অনলাইন নিবন্ধন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।সাথে যেসব কম্পিউটার এর দোকান বা অনলাইন সম্পর্কিত সাইবার ক্যাফের দোকানগুলোতে নিবন্ধন করছেন ও ভ্যাকসিন কার্ড প্রদান করছেন,তারা নাকি একেক দোকানে একেক রকমের চার্জ হিসাবে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ নিচ্ছেন।তাই সাধারণ জনগণের এসব ভোগান্তির পরিত্রাণের জন্য আমাদের সভাপতি সাহেব ও আমরা অত্র সংগঠনের সকল কার্যকরী কমিটি এবং সকল সদস্য মিলে এ রকম কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৭ ও ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২দিন ব্যাপী এই কর্মসূচি।আমাদের ধারণা এতে সাধারণ জনগণের বিভিন্নরকম ভোগান্তি,হয়রানি ও সামান্য পরিমাণ অর্থ এবং সময়ের অপচয় সবই লাঘব হবে,সাথে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছায় সমাজ সেবা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরো জানান যে,তাদের এই সংগঠন শুধু মাত্র সংগঠনের হাতেগোনা কয়েকজন সদস্যের মাসিক চাঁদা আর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নিজ অর্থায়নের উপর নির্ভর করেই বিভিন্নরকম কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন।বিগত বছর কল্যাণ তহবিলের জন্য আবেদন করে সরকার হতে সামন্য পরিমাণ অর্থ অনুদান পান।যা শুধু সরকারের নিকট দেখানো একটি প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে।
তাই উক্ত সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিনীতভাবে অনুরোধ করেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পেশার বিত্তবান ও অনুদান প্রদানে সক্ষমতা আছে,একমাত্র সেসব বিত্তবান ও সক্ষম জনগণের নিকট অনুরোধ করেন যেন তারা উক্ত সংগঠনকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য।
তারা আরও জানান কোন সুহৃদয়বান ব্যাক্তিগণ যদি উক্ত সংগঠনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন,তাহলে তাদের সংগঠন আরো ভিন্নধরনের সৃজনশীল মূলক সামাজিক,যুব সমাজের উন্নয়ন মূলক কাজ,বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি,দরিদ্রতা দূরীকরণ, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান মূলক,শিক্ষিত সমাজ গঠনমূলক ও স্বেচ্ছায় সেবা দানের কাজে খুব সহজে অগ্রসর হতে পারবে বলে মন্তব্য করেন।
Leave a Reply