মোঃ ইদু খান স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট এয়ারপোর্ট এএসপি জনাব আছাবুর রহমান যোগদানের পর থেকেই বদলে যাচ্ছে পুরো সিলেট নগরী। যেমন মাদক, চুরি, ডাকাতি,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, এক কথায় মানুষের সম্পুর্ণ নিরাপত্তায় জনবান্ধন এএসপি জনাব আছাবুর রহমান।
এর আগে তিনি দেশের জেলায় উপজেলায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালন করার সময় জনবান্ধব পুলিশ গড়তে নানান পদক্ষেপ নেন তিনি। এছাড়া মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে বদলে যায় কর্মরত থানার চিত্র। এছাড়া পুলিশের অবৈধ পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় পুরোপুরি বন্ধ করে সাড়া ফেলে দেন মানবিক এই পুলিশ অফিসার।
এএসপি আছাবুর রহমান সততা, নিষ্ঠা, ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমন, মাদক নির্মূল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিরোধ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও সার্বিক আইন শৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (এএসপি-সেবা) এ ভূষিত হন।
পুলিশ অফিসার আছাবুর রহমান পুলিশের অভ্যন্তরের দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন। বিশেষ করে মাদক স্পট থেকে টাকা আদায় বন্ধ অবৈধ পরিবহন থেকে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ সহ থানায় মামলা রেকর্ড ও জিডি করতে সাধারণ মানুষের যাতে কোন প্রকার অর্থ দিতে না হয় সেজন্য নেন নানান উদ্যোগ।
থানাতে নাগরিক সেবা সহজীকরণ, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের দ্রুত সেবা দিতে নানান উদ্যোগে বদলে গেয়েছিল থানার চিত্র।
নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের নুরপুর বোয়ালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এএসপি আছাবুর রহমান। খালিয়াজুরী এই কৃতি সন্তান এখন পুলিশ বিভাগের গর্ব। নিজ কর্মস্থলে গরীবের পুলিশ নামে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। চলাফেরা করেন খুব সাদামাটাভাবে। গরীব দুঃখি সবার জন্য সর্বদা দরজা খোলা থাকে তার। তার সাথে দেখা করতে কারোর অনুমতি লাগে না। উচ্চ শিক্ষিত ও রাজনৈতিক বড়ো নেতার ফোন যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক সাধারণ মানুষের ও ফোন তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনি।
এর আগে তিনি যে-সব থানায় কর্মরত ছিলেন, সে-সব থানায় অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁর অবিরাম সংগ্রাম। কর্মসূত্রে যে সকল থানাতে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তার সাহসী ভূমিকার কারণে খুব সহজেই তিনি জনমনে ঠাঁই করে নিয়েছেন।।