মোঃ আসাদুজ্জামান শাওন স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন- বিএফইউজে ও ডিইউজে। শনিবার (২২ জুন) গণমাধ্যমে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয় সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে।
বিবৃতিতে বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন। কিন্তু এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো নেতা এবং কোনো সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান, তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, এরইমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ ক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন, তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয়, তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব, প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শান্তি নিশ্চিত করা। এ সকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোন শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।
বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, হুমকি ও ধমক দিয়ে লাভ নেই।প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। সংশ্লিষ্ট মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।