নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ভোলা জেলার নারী সমাজসেবক এবং সমাজের নারীদের অসংগতি রোধে এগিয়ে আসা মাহমুদা খানম মিলির ছেলে রায়হানুল হক মুগ্ধ( ১৬ ) কে ইভটিজিংয়ের দোহাই দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসাইন ইমন (৩৭) ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুগ্ধর মা মাহমুদা খানম মিলি চরফ্যাশন পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা । সমাজের নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন সেবা মূলক কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে যাচ্ছেন তিনি ৷
দেশের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান তাঁর সেবামূলক কাজে বিশেষ স্বীকৃতি স্বরুপ বিভিন্ন সময়ে এওয়ার্ড সহ গুণীজন সম্মাননা প্রদান করেন । মাহমুদা খানম মিলির এসব সেবামূলক কাজই একটি মহলের চোখের বিষ হয়ে দাঁড়ায় ।
বিভিন্ন সময় সমাজসেবা কর্মী মাহমুদা খানম মিলিকে অপমান জনক ভাবে কথা বলে মহলটি ।
গতকাল ১৪-০৩-২০২২ইং মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে চরফ্যাশন টি ব্যারেট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছ থেকে পরিকল্পিত উপায়ে মাহমুদা খানম মিলির ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রায়হানুল হক মুগ্ধকে বেধড় পিটিয়ে জখম করে ইমন ।
স্কুল কতৃপক্ষ বিষয়টি মিমাংসায় নেয়ার চেষ্টা করলে সেখানে ইমন শিক্ষকদের অফিসে থাকা বেত নিয়ে তেড়ে আসে মাহমুদা খানম মিলির দিকে তাঁকে প্রহার করার উদ্দেশ্যে । এক পর্যায়ে মাহমুদা খানম মিলিকে হত্যার হুমকিও দেন ইমন ।
পরে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকাগণ পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করে এবং স্কুল থেকে বের করে দেয় ইমনকে ।
এদিকে মাহমুদা খানম মিলির অভিযোগ, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে মাতাল ইমন আমার ছেলে রায়হানুল হক মুগ্ধকে ইভটিজিংয়ের দোহাই দিয়ে পিটিয়ে আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।
মুগ্ধর শারীরিক অবস্থা অনুকূলে না থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের পরামর্শ দেন মুগ্ধর চিকিৎসকরা ।
মাহমুদা খানম মিলি জানান, তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন । যে কোন সময় ইমন সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে বা আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা এবং গুম করে ফলবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে ছেলেকে আহত হওয়ার বিচার দাবি করে মাহমুদা খানম মিলি।
মিথ্যা অজুহাত দিয়ে অন্যায় ভাবে ছেলে রায়হানুল হক মুগ্ধকে পেটানোর দায়ে অভিযুক্ত ইমনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি ।