বেসরকারি একটি টেলিভিশন ও একটি প্রত্রিকায় অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভরতখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন ২০১৯ ইং সালে ওয়াশ আউট প্রকল্পের নদী ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ভাঙন কবলিত ২৮টি পরিবারের নামের তালিকা করে গত মে মাসে ২০ সেই তালিকাভুক্ত নাম গুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য আমাকে অবগত করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। আমি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যদের সাথে নিয়ে ভাঙন কবলিত ২৮টি পরিবারের তথ্য সঠিক পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করি। এরপর ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো স্বশরীরে পিআইও অফিসে উপস্থিত হয়ে তাদের নামে ইস্যুকৃত চেক গ্রহণ করেন এবং পরিবারগুলো সোনালী ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ভরতখালী ইউনিয়ন শাখা থেকে নিজ নামে স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন। অথচ টাকা উত্তোলনের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা জানেন না ।
ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য বেসরকারি টেলিভিশন (বাংলাটিভি) জেলা প্রতিনিধি জাহিদ খন্দকার তার টিভিতে প্রচার ও তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি ‘জাহিদ খন্দকার বিডি’ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি ‘শীর্ষক ২০ হাজার টাকা তুলতে ১৫ হাজার ঘুষ দেয়া লাগে এবং দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০ হাজার টাকার চেকে ঘুষ ১০ হাজার টাকা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার হয়। ওই সংবাদে জাহিদ খন্দকার ভরতখালি ইউনিয়ন পরিষদের লোগো ব্যবহার করে বাংলা টিভিতে উক্ত ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে। এই সংবাদ প্রকাশের পর ভরতখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সকল সদস্যদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উক্ত ভুয়া সংবাদ সোসাল মিডিয়ায় এবং পত্রিকায় প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।