জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ও স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরস্কারস্বরূপ দুটি ঘর খালিয়াজুরী উপজেলার নগর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রাম নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা হরকুমার দাস ও ব্রজেন্দ্র চৌধুরীর নামে বরাদ্দ হয় এবং যথারীতি টেন্ডারের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে ঠিকাদার ঘরের নির্মাণসামগ্রী ওই মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে প্রেরণ করেন।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঠিকাদারসহ ঘরের কাজ উদ্বোধন করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে পৌঁছার পর উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পাবেন না বা ঘর দেয়া সম্ভব হবে না বলে প্রকাশ্যে বলেন এবং পরবর্তীতে ঘরগুলো বাতিল করে অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নামে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু দেবরায় তার ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, যেহেতু ওই গ্রামবাসী কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় জমি বা ভূমির খাজনা দিয়ে আসছেন, সেহেতু ওই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর দেয়া সম্ভব হবে না।
খালিয়াজুরী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু দেবরায় আরো বলেন, যে সকল মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি খালিয়াজুরী থানায় অথচ ভাতা উত্তোলন করিতেছেন ইটনা থানা থেকে, ওদেরকে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘর দিয়ে যাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হলো- উনারা আদৌ ঘর পাবেন কি-না এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যে দুজন মুক্তিযোদ্ধার ঘর বাতিল করা হয়েছে সত্যিকারভাবে তারা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ ব্যপারে মাননীয় প্রধানমন্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
খালিয়াজুরী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু দেবরায় ফেসবুক লেখার পর থেকেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়াও খালিয়াজুরীতে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর নির্মাণাধীন অবস্থায় অনিয়ম দুর্নীতি নিউজ হয়েছে দেশের বিভিন্ন চ্যানেল ও পত্রিকায়।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এলিন বলেন, এখানে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে যে কার ঘর দেওয়া সম্ভব হয়নি।