রিপোর্টার মরিয়ম
আজকের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু এই আর্থিক সাফল্যের আড়ালে রয়েছে এক গভীর বেদনার কাহিনি, যা প্রতিনিয়ত তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। দেশের বাইরে থাকা এই মানুষগুলো শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য নয়, বরং পরিবার ও প্রিয়জনের সুখের জন্য বিদেশের অচেনা পরিবেশে কঠিন জীবনযাপন করছেন। অপরদিকে, তাদের মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনরা দেশের মাটিতে থেকে প্রিয়জনকে না পাওয়ার বেদনায় ভুগছেন। এই সংবাদ প্রতিবেদনে প্রবাসীদের অন্তর্নিহিত কষ্ট এবং বাংলাদেশের মায়া-মমতায় ভরা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবাস জীবনের বাস্তবতা
প্রবাসে থাকা অধিকাংশ মানুষই বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বেঁচে থাকেন। তাদের সকাল শুরু হয় কঠোর পরিশ্রম দিয়ে আর দিন শেষ হয় নিঃসঙ্গতায়। দেশের মানুষের ধারণা থাকে—প্রবাসে থাকা মানেই বিলাসবহুল জীবন। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। অধিকাংশ প্রবাসীকে দিনে ১০–১২ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় কাজ করতে হয়, অনেক সময় মানবে তর পরিবেশে।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর কিংবা ইউরোপে কম আয়ের শ্রমজীবী প্রবাসীদের জীবন আরো কঠিন। তারা নিজ পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য নিজের সব স্বপ্নকে বিসর্জন দেন। বিয়ের অনুষ্ঠান, ঈদের আনন্দ, সন্তানদের জন্মদিন, কিংবা মা-বাবার অসুস্থতা – এসব কিছুর মাঝেই তারা শুধু স্মৃতি হয়ে থাকেন। ভিডিও কলে কিছু মুহূর্তের দেখা-সাক্ষাৎই হয়ে ওঠে জীবনের একমাত্র সান্ত্বনা।
মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনের মায়া
একদিকে প্রবাসীদের জীবন কাটে একাকীত্বে, অন্যদিকে দেশের মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়স্বজন সারাক্ষণ অপেক্ষায় থাকেন একটিবার দেখা হবে বলে। বৃদ্ধ মা প্রতিদিন ছেলের ছবি দেখে চোখের জল ফেলেন, বাবা প্রতিদিন খেয়াল করেন মুঠোফোনের দিকে—একটা কল আসবে কি না। সন্তানকে ভালো স্কুলে পড়াতে, বাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য দিতে কিংবা সবার মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে প্রবাসীরা যে কষ্ট সহ্য করেন, তার খবর কেউ রাখে না।
এই আত্মিক টানাপোড়েন এমন একটি মানবিক সত্য, যা হাজারো পরিবারের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। অনেক সময় প্রবাসীরা স্বজন হারানোর সংবাদ পেয়ে দেশে ফিরতে পা