সেলিম মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাজীপুর -টঙ্গী-২ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে ৯ নবেম্বর বুধবার বিকাল ৫ ঘটিকায় বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আলহাজ্ব আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি,বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি,সংরক্ষিত মহিলা এমপি সামছুন্নাহার ভূইয়া,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল। শহিদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য তাকে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ এ ভূষিত করা হয়। আহসান মাষ্টার এমপির জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,ছাত্রলীগ,মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ, পবিত্র কুরআন তেলওয়াত,দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে টঙ্গী নতুন বাজারস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচছাসেবক লীগ কেক কাটার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে।শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের জন্মদিনের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার টঙ্গী আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন আহসানউল্লাহ মাস্টার।
এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ অভিযোগপত্র দায়ের করে। ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেওয়া হয় দুই আসামিকে।