জান্নাত জাহা স্টাফ রিপোর্টারঃ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কসহ সড়কের উভয় পাশের ফুটপাতের স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল হকের নেতৃত্বে চলে এ উচ্ছেদ অভিযান। তবে, সকালে উচ্ছেদ করা হলেও দুপুরেই ফের দখল হয়ে যায়।অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীদের তদবিরে ফুটপাতের কিছু কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়নি। এদিকে, ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় তাদের কাছ থেকে। ওই হিসেবে মাসে চাঁদার আয় হয় প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। আর এ চাঁদার টাকা উঠানো হয় উপজেলা প্রশাসন, ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি, ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে। এরপর আবার চোর পুলিশ খেলানো হয় এসব নিরীহ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সাথে। যারা চাঁদা আদায় করে তারা থাকে ধরাছোয়ার বাইরে। যদিও উপজেলা প্রশাসন, ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি, ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প ও দলীয় নেতাকর্মীরা তা অস্বীকার করেছেন।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকাটি একটি ব্যস্ততম, শিল্প ও ব্যবসায়ীক এলাকা। এ এলাকায় মার্কেট ও হাটবাজার রয়েছে। রয়েছে পাইকারী কাপড়ের বাজারও। ওই দুই মহাসড়কসহ সড়কের উভয় পাশের জায়গা দখল করে ফুটপাতে প্রায় এক হাজারের মতো দোকানপাটসহ ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছে কয়েকটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। দীর্ঘ দিন ধরে সিন্ডিকেট গুলো উপজেলা প্রশাসন, ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি, ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে। আর এসব দখল ও চাঁদা আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের টনক নড়ে।
নাম না প্রকাশ শর্তে কয়েকজন ফুটপাত ব্যবসায়ী জানান, তারা প্রতিদিন চাঁদা পরিশোধ করে আসছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের উপর মহলের চাপে উচ্ছেদ করা হলেও যারা চাঁদা আদায় করেন তারা বলে দেন আগের মতো যাতে ফের দখলে চলে যায়। এ জন্য উচ্ছেদ করার পর পরই ব্যবসায়ীরা আবারো ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা শুরু করেন। এছাড়া চাঁদা আদায়কারীরাও নিয়মিত উল্লেখিত স্থানে মাসোহারা দিয়ে আসছে। যার ফলে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। তারা থাকেন ধরাছোয়ার বাইরে। অথচ হয়রানি হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এসব ব্যপারে তদন্ত করে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন বলেন, দলের কেউ চাঁদাবাজি করেনা। যারা চাঁদাবাজি করে তাদের বেঁধে রেখে আমাদের খবর দিন।