ক্রাইম রিপোর্টারঃ বগুড়া সদরের মাটিডালীতে প্রকাশ্য দিনে দুপুরে একটি মোবিল ও মোটর পার্টসের দোকানে সন্ত্রাসী হামলা,ভাংচুর,লুটপাটের অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের।
বগুড়া সদর থানায় মামলা ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বগুড়া সদরের শাখারিয়া জঙ্গলপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন এর পুত্র আরিফুল ইসলাম বগুড়া সদরের উপকন্ঠে মাটিডালী এশিয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের পাশে মাটিডালী গ্রামের জনৈক ইউসুফ আলীর ছেলে ইমরান রহমান এর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে গত ৯/৫/২১ ইং তারিখ থেকে মোবিল ও মোটর পার্টসের ব্যবসা করে আসছিল। মাটিডালী ফকিরপাড়ার আক্তার হোসেন এর ছেলে মামুন(৩৫),লিমন(৩৩) সুমন (৩৭)
শাখারিয়ার জঙ্গলপাড়ার কাইয়ুম এর ছেলে আনছার আলী (৬৫) ও মাটিডালীর আকতার হোসেন (৬৫) এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবৎ দোকানটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আরিফুল কে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসিতেছিল।
এরই ধারবাহিকতায় ২৮/০১/২০২২ ইং তারিখে সোমবার দুপুর অনুমান ১ টার সময় সে দোকান পরিচালনা করার সময় উল্লেখিত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সর্জিত হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে হত্যার হুমকী প্রদান করে, দোকান বন্ধ করে রাখে। সেই সময় ০১ হতে ০৪ নং আসামী দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ২,৪৫,০০০/- (দুই লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার) টাকা লুট করে নেয় এবং সকল সন্ত্রাসীরা দোকানের রক্ষিত বিভিন্ন ধরনের গাড়ীর মবিল ও বিভিন্ন ধরনের মোটর পার্টস জোর পূর্বক নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৮,৫০,০০০/- (আঠার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং দোকানটি ভেকু মেশিন দ্বারা ভেঙ্গে ফেলে।
সে সন্ত্রাসীদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে হত্যার হুমকী প্রদান করে বীর দর্পে চলে যায়।
মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমার জীবনের বহু কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে আমার এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি এবং আমার পুরো পরিবার এই ব্যবসার অর্থের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। এই হামলার কারণে আমিসহ আমার পুরো পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রন্থ পথে বসেছি এবং আমাদের জীবন যাপন করার আর কোন অবলম্বন নেই।
এ ব্যাপারে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে দ্রুত আটক করে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানান এবং ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের নামে বগুড়া সদর থানায় বাদী হয়ে গত ০১/০৩/২০২২ ইং তারিখে একটি এজাহার দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখন আটক করতে পারেনি।