স্টপ রিপোর্টারঃবগুড়ার বাজারে এখনো চোখ রাঙাচ্ছে মরিচ, পেঁয়াজ,সবজির অব্যাহত মুল্য বৃদ্ধির সাথে বাড়তে শুরু করেছে ডিমের দাম। এদিকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সঙ্কট দেখা দিলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েল।
তবে সুখবর আছে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। আগামী ১৫ মার্চ থেকে ন্যায্যমূল্যে কার্ডধারীদের হাতে পণ্য তুলে দিবে টিসিবি। বগুড়া শহরের কলোনী বাজারে দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ নেই বললেই চলে। কলোনী বাজারে দু’একটি দোকানে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকায়। আর পাইকারীতে প্রতি কেজি পামওয়েল গত সপ্তাহে ১৫৭ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৬২ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে সাধারণের কিনতে হচ্ছে ১৭২ টাকায়। অন্যদিকে পাইকারী বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ না থাকা এবং খোলা সয়াবিন-পামওয়েল বেশি দামে কেনায় সামান্য লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এদিকে সবজির খুচরা বাজারেও কাটেনি অস্থিরতা। কলোনী বাজারে প্রতি কেজি পটল ১৬০, আলু ২০ থেকে ২৫, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৮০, মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিকেজি বেগুন ৪০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, ফুলকপি ৪০, শিম ৪০ থেকে ৬০, রসুন ৬০ আর প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে বগুড়ার পাইকারী বাজারে প্রতি পিস ডিম ৮ টাকা ৩০ পয়সায় বিক্রি হলেও এখন ৮ টাকা ৭৫ পয়সা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহরের সব বড় কাঁচাবাজার রাজাবাজারেরও দ্রব্যমূল্যের দাম প্রায় একই। টিসিবির বগুড়া কার্যালয়ের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম বলছেন, বগুড়ায় দুই কেজি করে চিনি আর মসুর ও সয়াবিন দুই লিটার দেওয়া হবে আগামী ১৫ মার্চ থেকে। বগুড়ায় পৌরসভায় ২১ ওয়ার্ড ও প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কার্ডধারীদের ন্যায্যমূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করা হবে। বগুড়ার বাজারে সয়াবিন তেল সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাবাজার আড়ৎদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, বগুড়ার বাজারে সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। সরবরাহকারীদের তেল দিচ্ছে না। সংকট মূলত এই কারণে।