এস এম রাকিব বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ-বগুড়া সদর উপজেলার গোদারপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস হইতে হাপ কিলোমিটার ভিতরে পালশা গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা চলছে।
যার দুষিত ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এই কারখানা সংলগ্ন হাফেজি মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ শিক্ষক ও কয়েকজন ছাত্র বলেন,প্রতিদিন রাত ০৯.০০ ঘটিকায় যখন এই কারখানায় আগুন জ্বালিয়ে ব্যাটারীর প্লেট গালানো শুরু করে, তখন নিঃস্বাস বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি শুরু প্রচুর গন্ধ আমরা প্রাণ ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।
কারখানা সংলগ্ন রয়েছে গ্রাম ও চারদিকে রয়েছে অনেক বাড়ি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পালশা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন।
এই ব্যাটারী কারখানায় প্রতিদিন রাত ০৯.০০ হইতে ভোর ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন সিসা তৈরির কাজ করে তখন এই কারখানার গন্ধ ধোঁয়ায় আমাদের বাসার ভিতর থাকতে অনেক কস্ট হয়।
এই কারখানার কারণে নস্ট হচ্ছে মাঠের ধান, গবাদিপশু মৃত্যুর ভয়ে খাওয়াতে পারছিনা এই মাঠের জমির ঘাস গরু ছাগলকে।
গ্রাম বাসিকে প্রশ্ন করলে এই কারখানাটির মালিক কে?
তারা জানান গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মহিমাগঞ্জ এলাকার ১।মোঃ-আশিক।
এই কারখানা দুষিত ধোঁয়া ও বিশ্রি গন্ধে আশেপাশের গ্রামের কোমলমতি শিশু ও বৃদ্ধরা ভুগছে বিভিন্ন রোগে।
গ্রামবাসী বলেন অনেকেই এই এসিডের ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই কারখানা চলায় আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনা,এই ধোঁয়া শুধু আমাদের গ্রাম নয় আশেপাশের দুই তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গন্ধ ছড়ায়।
এই এসিডের ধোঁয়া আশেপাশের গ্রামে বাড়ির ভিতরে ঢোকে ও বসবাসকারী লোকজনের নাক,মুখ,চোখ প্রচুর জ্বালা করে নিশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়।
দিনের বেলায়ও এই কারখানার এসিডের গন্ধে কোমলমতি শিশুদের ও এলাকাবাসীর রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টস্বার্ধ হয়ে পড়েছে।
এই কারখানার দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের মাঠের ধান রবিশস্য।
তাই এলাকাবাসী এই কারখানাটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিতে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনসহ থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।