সিনিয়র রিপোর্টারঃ মিরপুর প্রেসক্লাবের উদ্দেগে মিরপুর দারুসসালাম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মিলাদ মাহফিল ও দারিদ্রভোজন এর আয়োজন করা হয়। উক্ত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এন জামান কামাল, প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু, মাননীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা—১৪ ও উপদেষ্টা মিরপুর প্রেসক্লাব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হাসনাত, সম্মানিত অতিথি মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতা হায়দার আলী বহুলুল, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইসলাম, উপস্থিত ছিলেন মিরপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম বদরুল আলম, সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক খান সেলিম রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক এটিএম সামসুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান খোকন, সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান পাখি, সহ—প্রচার সম্পাদক সোহরাব হোসেন বাবু, রুবিনা শেখ, মহিলা সম্পাদক রাবিয়া খাতুন, সহ—মহিলা সম্পাদক ফরিদা পারভীন ববি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শফি, ত্রাণ ও দূর্যোগ সম্পাদক সর্দার মাজাহারুল, প্রকাশনা ও প্রযুক্তি সম্পাদক সিরাজুম মুনিরা, নির্বাহী সদস্য ছাইফুল ইসলাম রহিম, সুমী রহমান ও মিরপুরের সাংবাদিকবৃন্দ।
বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপড়ব দেখে ছিলেন সোনার বাংলা গড়তে। তাই ছাত্র জীবন থেকে এদেশের মানুষের কল্যাণে আত্ম নিয়োগ করেন সেবামূলক কাজে। তার ৫৬ বৎসর বয়সে অনেক দীর্ঘ সময় জেলে ছিলেন, স্বপড়ব ছিল
কিভাবে আমরা যারা বাঙ্গালী ছিলাম তাদের কিভাবে ভাগ্য উনড়বয়ন করা যায়। তৎকালীন সময়ে আমাদের দেশে পাট উৎপাদন হতো। এই পাট পাকিস্তান হয়ে বিদেশে রপ্তানী হতো, আমাদের ধান উৎপাদন হতো তখন পাকিস্তানে তত ধান উৎপাদন হতো না সেই ধানও পাকিস্তানীরা নিয়ে যেত। কৃষক তার সঠিক মূল্য পেত না। একমাত্র কাগজের মিল ছিল কর্ণফুলী পেপার মিল। তখন পাকিস্তানে কোন পেপার মিল ছিল না। আমাদের দেশের কাগজ রিফাইনের নামে পাকিস্তান নিয়ে যেত, তারা কম মূল্যে কিনত বাংলার মানুষকে বেশি মূল্যে কিনতে হতো। এই পাকিন্তানী পাঞ্জাব দের সাথে আমাদের বাংলার মানুষের বৈষম্য ছিল দিন রাতের মত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করি। অনেক সাংবাদিক স্বাধীনতা যুদ্ধে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন ও আবু তালেবকে হত্যা করেছে এই পাকিস্তানী বরবর বাহিনী। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহিদ ও যে সকল সাংবাদিকরা শহিদ হয়েছেন তাদের এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিতার কামনা করছি। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিক হিসেবে বাংলার বানীতে চাকুরী করতেন। আমি আশা করি, আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপড়ব এদেশের মানুষ যেন না খেয়ে থাকে না, এদেশের মানুষ শিক্ষা ব্যবস্থায় ভালো হবে প্রত্যেক নাগরিক তার শিক্ষা গ্রহন করতে পারে, এদেশে যেন কোন মানুষ ভূমিহীন না থাকে, বিনা চিকিৎসায় যেন মারা না যায়, দূনীর্তি মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে শপথ নিতে হবে আমাদের সকলকে। সাংবাদিক ভাইদের রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মানে ভূমিকা অপরিসীম।