নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (জেসিএমএস) বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি ব্যতিক্রমধর্মী শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনী। জেন্ডার অ্যান্ড মিডিয়া কোর্সের আওতায় বিভাগের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তৈরি শর্ট ফিল্মটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শাতিল সিরাজ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৮১০ নম্বর কক্ষে শর্ট ফিল্মটি প্রদর্শন করা হয়।
প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ ছিল “অদৃশ্য সীমানা” নামক শর্ট ফিল্মটি, যা সমাজে প্রচলিত নারী ও পুরুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নির্মিত। ফিল্মটি দর্শকদের মনকে নাড়া দেয় এবং ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
কোর্স শিক্ষক তন্দ্রা মন্ডলের প্রযোজনায় এবং শিক্ষার্থী প্রীতু বীরের পরিচালনায় শর্ট ফিল্মটিতে অভিনয় করেন মো. সাহিদ হাসান, সামিয়া জামান, নয়ন মন্ডল, আফিফা নাসরিন, শ্রাবণ চন্দ্র সরকার, সাফা সিদ্দিকা দোলা, ফজলে রাব্বী এবং প্রীতু বীর। সহযোগিতায় ছিলেন মোসা. রোবাইয়া ও মেহেদী হাসান।
শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ রাকিব হোসাইন, তন্দ্রা মন্ডল , সাঈদ ইবরাহীম রিফাত, আয়শা সিদ্দিকা, এবং সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
প্রদর্শনী শেষে শিক্ষক, প্রযোজক ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানান।
এ সময় বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শাতিল সিরাজ বলেন, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের এরকম উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি চাই এই ধারা অব্যাহত থাকুক। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীদের কাজ জাতীয় পর্যায়েও তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
প্রযোজক তন্দ্রা মন্ডল বলেন, প্রযোজক হিসেবে আমি খুবই আনন্দিত এমন একটি অর্থবহ প্রজেক্টের অংশ হতে পেরে। শিক্ষার্থীরা যে দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি বিশ্বাস করি, তারা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার সামর্থ্য রাখে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রতিভার মাধ্যমে সৃষ্টিশীল কাজ দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন এবং সামাজিক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
শিক্ষার্থী আমিনা জাহান শাওনি বলেন, প্রথম কাজ হিসেবে এটি অত্যন্ত চমৎকার ছিল। প্রত্যেকের অভিনয় মনোমুগ্ধকর। আমি প্রত্যেকটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এরকম শিক্ষামূলক শর্ট ফিল্ম আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও দেশকে পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।