ইয়াছিন আরাফাত, কক্সবাজারঃ ফেসবুক, মেসেঞ্জারে পরিচয় থেকে আওয়ামীলীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু হয় ঘাতক আশরাফুল ইসলামের। তারপর ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে। গেল এক সপ্তাহ ধরে ঘাতক আশরাফুলকে বলাৎকার করে আসছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান মোটর সাইকেলে। তারপর বাজারঘাটা থেকে বাংলা মদ ও পেয়ারা কিনেন। সেখান থেকে চলে যান হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনে। সেখানে সময় কাটানোর পর এক শ টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পর আবারো সানমুনে ডেকে নেন। সেখানে আবারো বলাৎকার করার সময় ভিডিও ধারণ করেন সাইফ উদ্দিন। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফ উদ্দিনের হাত বেঁধে ফেলেন। ছুরিকাঘাত ও রগ কেটে দিয়ে হত্যা করে।
সোমবার রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন- ভিকটিম ও ঘাতক পূর্বের পরিচিত। সে সুবাধে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু যখন সম্পর্কটি মোবাইলে ধারণ করে তখন ঘাতক আশরাফুল ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে হত্যার পরিকল্পনা করে। মদ খাওনোর পর চাদর দিয়ে মূখ চাপা দেয়, বেল্ট দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তারপর ছুরি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সে ভিডিও ধারণকৃত মোবাইলটা আলামত নষ্টের জন্য ভেঙে ফেলেন।
তিনি আরও বলেন- ভেঙে ফেলা মোবাইল, ব্যবহৃত ছুরি, ভিকটিমের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। এটি প্রাথমিক স্থর। পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে।
এরআগে- গেল সোমবার সকাল ১০ টার দিক টার দিকে শহরের হলিডের মোড়ে ‘সানমুন’ আবাসিক হোটেলের ২০৮নং কক্ষে ওই নেতার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত সাইফ উদ্দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি শহরের ঘোনার পাড়া এলাকায়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমের প্রকাশ পর থেকে চারদিকে হইচই পড়ে যায়। প্রকাশ্যে আসে আশরাফুলের পরিচয়।