রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেছেন, বাংলা থিয়েটার তার জায়গা থেকে ক্রমেই বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের বলিষ্ঠ থিয়েটার কর্মীদের অনেকেই ক্রমে ব্যবসায়িক মনোভাবাপন্ন হয়ে যাচ্ছেন । কখনো কখনো দেখা যায়, থিয়েটার একজন ব্যক্তি বা একটি পক্ষের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে। শোনা যায়, থিয়েটার কর্মীরা নির্বাহী কমিটির পদ নিয়ে কখনো কখনো দলাদলি করছেন। যার ফলে থিয়েটার ক্রমে সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা রাতে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে প্রসূন থিয়েটারের ৩০ বছর ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সঙ্কট নিরসনে থিয়েটার কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের বাংলা নাটকের ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ। ফোক থিয়েটার থেকে এর যাত্রা শুরু। যাত্রাপালা থেকে সময়ের ধারাবাহিকতায় ক্রমে মঞ্চনাটক নিজস্ব চারিত্র্য লাভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৮৭২ সালে ব্রিটিশের কালো আইন, অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইনকে অগ্রাহ্য করে মুক্তধারার নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে আমরা, নাট্যকর্মীরা সংগ্রাম করেছিলাম।
নাটকের শক্তি আমরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ব্যবহার করেছি, পাকিস্তানের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। স্বাধীনতার পর থেকে থিয়েটারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায়ের কথা বলেছি। স্বৈরশাসক, সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছে নাটক।
প্রসূন থিয়েটারের সভাপতি মাহবুব এ খোদা টুটুলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সভাপতি জান্নাত আরা হেনরী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মমিন বাবু ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হেলাল আহম্মেদ।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০তম ও প্রসূন থিয়েটারের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১৬ জুলাই) তিন দিনব্যাপী হিমেল নাট্যোৎসব শুরু হয়। এ উৎসবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লায়লা ফেরদৌস হিমেলের নির্দেশনায় তিনটি নাটক মঞ্চায়ন হয়৷ নাটকগুলো হলো মাহবুব এ খোদা টুটুল রচিত লালন, সেলিম আলদীন রচিত পূত্র ও ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে দেওয়ানা মদিনা।