মোঃ আশিকুর রহমান তুষার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:-
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর বাহেরচর থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া (গোপালিয়া) পর্যন্ত আনুমানিক সাড়ে তিন কিলোমিটার নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এতে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন বাহেরচর থেকে গোপালিয়া তীরবর্তী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাহেরচর থেকে গোপালিয়া পর্যন্ত বাহেরচর ও গোপালীয়া দুটি বাজার, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , একটি মাদ্রাসা সহ তিনটি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে।
নদী ভাঙ্গনের কবলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাইক্লোন সেল্টার, সরকারি ভবন সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো।
ভাঙ্গন কবলিত গোপালিয়া গ্রামের সামিম বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ভাঙন চলছে। হাজিপুর নামের একটি গ্রাম সহ বাহেরচর থেকে গোপালিয়া পর্যন্ত শত শত ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন আরও বাড়বে।
গোপালিয়া গ্রামের ইউনুস প্যাদা নামের আরেকজন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বয়স ৫০ বছর। আমি পেশায় একজন কৃষক ,আমাদের জমিজমা, কাঠবাগান, ঈদগাহ মাঠ সবকিছুই ভেঙে গেছে। সরকারও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। রাতে ঘুমাতে পারি না, কখন ঘরটা ভেঙে যায়। বসতবাড়ি ভেঙে গেলে ঘর তোলার আর কোন জমি নেই। রাস্তায় পাশে গিয়ে থাকতে হবে”
এ সময় নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে থাকা অসহায় পরিবার গুলো বাউফলের ইউএনও মহোদয়, বাউফলের এমপি মহোদয় ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমরা টাকা চাইনা, সরকারি ঘর চাইনা, সরকারি জমি চাইনা, আমাদের একটাই চাওয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন নদী ভাঙ্গন বন্ধের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাপদাদাদার ভিটেমাটিতে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।