কবিতা আক্তার,স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালীর বাউফলে বিভিন্ন সময় ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত সাত ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।মঙ্গলবার ০৭/১১/২০২৩ খ্রিঃ মাদারিপুর, বরিশাল এবং বাউফল উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার ৮ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ বিকেলে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের অয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক সময় বাউফল উপজেলায় বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়ে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি ডাকাত চক্র ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে পটুয়াখালী জেলায় আসতেছে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের একটি টিম মাদারিপুর জেলার রাজৈর থানার সামনের মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে আটক করে।
এরা হচ্ছেন কালাইয়ার বাচ্চু সরদার, কনকদিয়া এলাকার উজ্জল হোসেন,পূর্ব কালাইয়ার জুলহাস মাতব্বর ওরফে জুলফু ডাকাত এবং পিরোজপুর এলাকার ইন্দুরকানি এলাকার নজরুল শেখ।
আটককৃত ডাকাতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই ডাকাত দলের সর্দার বরিশাল বাটাজোর এলাকার সোলায়মান হোসেন রনির বাড়িতে অভিযান চালালে রনি গোপন সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে মাদারীপুর ও ফরিপুর জেলা পুলিশকে ডাকাত সর্দার সম্পর্কে তথ্য দিলে তারা মাহাসড়কে চেক পোস্ট স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলা পুলিশ রনিকে তাদের চেক পোস্টে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হয়।
পরবর্তীতে বাউফলে ডাকাত দলকে আশ্রয়দাতা কলাইয়া এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং সুমন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি লক কাটার, চারটি রামদা এবং দুটি শাবল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাত সদস্যদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ জানান।
উল্লেখ্য, বাউফল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটে কালাইয়া ইউনিয়নে।
বাউফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ ডাকাত আতঙ্কে জীবন যাপন করতো।
ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের কথা জানাজানি হওয়ার পর জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।