শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
বানিয়াচংয়ে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন ক্যাম্পিং উদ্বোধন পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অবরুদ্ধ রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি আবারও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতা এস.এম. বাবু মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মামলা ও জিডি করতে আর থানায় যেতে হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাঁচালং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে লাঞ্ছনা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নির্বাহী সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বাবু

বাউফলে ভাগ্নীকে ধরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিচার চাইতে গিয়ে গ্রাম ছাড়া মা-মেয়ে ও জামাই।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৬৪ বার পঠিত

কবিতা আক্তার,স্টাফ রিপোর্টারঃপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মামার চুরির অপরাধে সদ্য বিবাহিত ভাগ্নীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাত ৯ থেকে ১টা পর্যন্ত সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে বিচার চাইতে ভাগ্নীর মা তাসলিমা বেগম পায়তারা করলে প্রভাবশালীর মহলের চাপ সৃষ্টিতে এখন গ্রাম ছাড়া ওই পরিবার বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। তারা এখন বাড়ি ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৫ই সেপ্টেম্বর) ২০২৩ দিবাগত রাতে বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বিলবিলাস গ্রামে। জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার পরিবার নিয়ে ভয়ে গত বুধবার (৬ই সেপ্টেম্বর) থেকে বাড়ি,গ্রাম ছেড়ে ঢাকা চলে গেছেন।একাধিক সূত্রে, সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানান, বাউফল থানা ব্রিজের ঢালে কাচা মালের ব্যাবসায়ী আল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতো পূর্ব বিলবিলাস গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফিক। শফিক ওখানে থেকে আল ইসলামের ভাড়ায় চালিত অটোরিক্সা ভাড়া চালাতো।শফিক সেই অটোরিক্সা বিক্রি করে এবং একটি ছাগল চুরি করে নিজের বাড়ি বিলবিলাস চলে আসে।

মঙ্গলবার (৫ই সেপ্টেম্বর) সকালে কাচামাল ব্যবসায়ী বাড়ির মালিক আল ইসলাম ও তার ছেলে ইব্রাহিম শফিক কে খুজতে এবং মালামাল উদ্ধার করতে শফিকের বাড়িতে আসে। পূর্বেই আল ইসলাম ও তার ছেলে ইব্রাহিম স্থানীয় চৌকিদার শামীম কে খবর দিয়ে সাথে করে নিয়ে আসেন। পরে শফিকের বোন তাসলিমা বেগমের ঘর থেকে চুরি হওয়া ছাগল উদ্ধার করে নিয়ে চলে যায়। তবে শফিক পলাতক থাকায় তাকে ধরতে না পেরে ছাগল নিয়ে চলে যান তারা। পুনরায় একইদিন (মঙ্গলবার) রাত ৮টার দিকে আল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম আরও দুই একজন ছেলেপান নিয়ে শফিকের বোন তাসলিমা বেগমের বাড়ি এসে শামীম চৌকিদারের সহযোগিতায় রাত ৯টার দিকে তাসলিমা বেগমের মেয়ে ওই সদ্য বিবাহিত শফিকের ভাগ্নী ও ভাগ্নী জামাই কে নিয়ে ইব্রাহিম বাউফল চলে যায়। এবং রাত ১টার দিকে ভাগ্নী ও ভাগ্নী জামাই বাড়িতে ফিরে আসে। পরে শুনতে পাওয়া যায় যে ভাগ্নী জামাই কে এক জায়গায় রেখে ভাগ্নীকে সংঘবদ্ধভাবে শারিরীক নির্যাতন করেছে। স্থানীয় শামীম চৌকিদার বলেন, আল ইসলামের বাসায় ভাড়া থেকে শফিক নাকি তাদের ছাগল ও অটোরিক্সা চুরি করে চলে এসেছে এমন খবর পেয়ে আল ইসলাম ও তার ছেলে ইব্রাহিম সহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শফিকের বোন তাসলিমা বেগমের ঘর থেকে চুরি হওয়া ছাগল উদ্ধার করা হয়। এবং পুনরায় ইব্রাহিম ওইদিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে শফিকের বাড়িতে আসলে সেখানে তাদের খবর পেয়ে আমিও উপস্থিত হই। এসময় ওই ভাগ্নী ও ভাগ্নী জামাই নাকি চোরের বাড়ি থাকবেনা তাই তাদের নিয়ে গিয়ে বাসস্ট্যান্ড জামাইয়ের ৩ জন লোকের কাছে তাদের বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসি। পরের দিন বুধবার সকালে আমাকে খবর দিয়ে ভাগ্নী ও ভাগ্নীর মা সহ জামাই জানায় যে ভাগ্নী কে নাকি নির্যাতন করা হয়েছে। তখন তাদের আমি বলেছি আপনারা আইনের আশ্রয় নিন।ভাগ্নীর মা তাসলিমা বেগমের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেঁদে ফেলে বলেন, আমার সর্বনাশ হয়েছে। কাচামাল ব্যবসায়ী আল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় শামীম চৌকিদারের মাধ্যমে রাতে প্রথমে আমার সদ্য বিবাহিত মেয়ে জামাই কে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জামাইয়ের মাধ্যমে মেয়েকে ডেকে নিয়ে তারা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে। মেয়ে ও জামাই রাত ১টার দিকে বাড়ি ঢুকে ধর্ষণের কথা জানায়। এব্যাপারে আমি বিচার চাইতে থানায় যেতে পারছিনা। বাবুল কমিশনার নাকি বিষয়টি দেখবেন এবং টাকা পয়সা দিয়া দিবেন বলেন আমাকে আমাদের বাধা বিপত্তি করেন। আমি বিচার চাই, বিচার চাই। এব্যাপারে বাবুল কমিশনার বলেন, তেমন কিছু না। বিষয়টি হলো টাকা চুরির বিষয় নিয়ে। এখানে ধর্ষণের মতো কিছু ঘটেনি।কাচামাল ব্যবসায়ী আল ইসলামের কাছে সরেজমিনে ঘটনার কথা জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলে বিষয়টি এড়িয়ে চলে যান।ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে কাচামাল ব্যবসায়ী আল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিমের কাছে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলায় কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, এমন ঘৃন্য কাজ আমি ভাবতেই পারিনা। আমি এই মুহূর্তে ঢাকাতে আছি। তবে অপরাধী যেই হোক না কেন সে অপরাধের সাজা পাক এটাই আমার কামনা।এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, এব্যাপারে এখনো কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সত্যতা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991