অরবিন্দু দাস পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে ১৯১ নং কালাইয়া স্বর্নিভর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সহ সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও শাহানাজ বেগমের অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে বলে বিস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক মোঃ আনছার উদ্দিন বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের জন্য প্রাক সংস্থা থেকে বাৎসরিক ভাবে ১০ হাজার টাকা ও স্লিপ ফান্ড থেকে প্রতি বছরে বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন পূর্বক বিদ্যালয়ের কোনও প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজ না করে সেই টাকা গুলো প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করে আসছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও শাহানাজ বেগম সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করে বিদ্যালয়ে দেরীতে আসেন আবার দুপুর হলেই খাবার খেতে চলে যায় তাদের নিজ বাসায়। কখনো আসে আবার কখনো আসে না। যার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। অনিয়ম দুর্নীতির কারণে অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে মুজিব কর্নার।
এদিকে অনুসন্ধান সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার ১৪ই ডিসেম্বর-২০২৩ ইং দুপুরের দিকে অত্র বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরে প্রতিবেদক প্রধান শিক্ষককে ফোন দিলে বলেন, আমি একটা বিয়ের দাওয়াতে এসেছি আপনি বসেন এক্ষুনি আসছি বলে কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসেন। তখন জানান অন্যান্য শিক্ষক তাদের বাড়িতে গেছে দুপুরের খাবার খেতে। পরে গত রোববার ১৭ই ডিসেম্বর-২০২৩ ইং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে প্রতিবেদক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষক বিদ্যালয়ে রয়েছেন। তবে অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনও শিক্ষক সঠিক জবাব দিতে পারেননি।
এব্যাপারে স্থানীয় দোকানদার সহ লোকজন জানান, শিক্ষকেরা ঠিকমতো পাঠদান করেনা, ঠিকঠাক সময় মতো আসেননা। আবার দেখা যায় তারা দুপুর হলেই তাদের নিজ বাসায় খাবার খেতে চলে যায়। কখনো আসে আবার কখনো আসে না। স্কুলের নেই কোনও উন্নয়ন। যেন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে এ অনিয়ম গুলো চলছে। শোনা যায় শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে চলেন। শিক্ষা অফিস তদারকিতে আসলে আজ পর্যন্ত কোনও প্রকার ব্যবস্থা নেননি। আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে যেন বিপদে পড়েছি। আবার বৃক্ষরোপণের সময় গাছের ডাল ভেঙে তা মাটিতে কুপে ছবি তুলে দেখেছি অফিসে দিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মোঃ সাব্বির আহমেদ নোমান বলেন, অনেক বার তাদের কে বলেছি সংশোধন হওয়ার জন্য কিন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এবং ভবিষ্যতে ভালো ভাবে চলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশাবাদী তারা সঠিক তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, সভাপতি কর্তৃক লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখন আমরা সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বশির গাজী বলেন, এব্যাপারে প্রতিষ্ঠান সভাপতি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবং নোটিশ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।