উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে বাঘাবাড়ী নৌ বন্দরটি এখন অচল হয়ে পড়েছে আরিচা থেকে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত নদীর নাব্যতা না থাকার কারণে বাঘাবাড়ি বন্দরে কোন মালবাহী জাহাজ না আসার কারণে হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। নামকরা বাঘাবাড়ি বন্দরটি এখন অচল হয়ে পড়েছে। নদীতে ড্রেজিং না করা পযর্ন্ত বন্দর অভিমুখে জাহাজগুলোর পৌছতে নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাঘাবাড়ী নদী বন্দরের ঠিকাদার আব্দুস সালাম বেপারী বলেন, প্রায় দুই মাস বাঘাবাড়ী নৌ বন্দর অচল হয়ে পড়ে আছে, নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজ আসতে পারছে না অপরদিকে যশোর, নোয়াপাড়া, খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গার ঠিকাদাররা বাঘাবাড়ী নদী বন্দরে মাল পাঠাচ্ছে না যার ফলে শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পরেছে এবং আমরা ইজারাদার হিসেবে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মধ্য পরেছি। তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, বাঘাবাড়ী নদীবন্দর সচল করার জন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি করছি। ১৬টি জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থাপন করেন বাঘাবাড়ী নদীবন্দর। ইতোমধ্যেই বাঘাবাড়ী বন্দর কতৃর্পক্ষ নদীতে ড্রেজিং করতে বিআইডাব্লিউটিএ বরাবর আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর তীরে স্থাপিত হয়েছে বাঘাবাড়ি নদী বন্দর। বাঘাবাড়ি নদী বন্দরের পেট্রোলিয়াম ডিপো থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য এবং সার সরবরাহের মধ্য দিয়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই বন্দরটি সিরাজগঞ্জের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য, আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুম ঘিরে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় জ্বালানি তেল, সার এই বাঘাবাড়ী বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। বাঘাবাড়ী বন্দর হল বাংলাদেশের একটি প্রধান নদীবন্দর । এই বন্দরের দ্বারা দেশের উত্তর অংশের কৃষি কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার এই নৌবন্দর দ্বারা আনা হয়। এই বন্দর দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়লা, ডিজেল, রাসায়নিক সার নদী পথে আনা হয় ছোটো জাহাজে করে । তবে সুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বন্দরমুখী নদীতে চর জেগে মালবাহী জাহাজ কগোর্ সময়মত ভীড়তে পারেনা। বাঘাবাড়ী বন্দর থেকে প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ছেড়ে যায় শত শত সার,কয়লা ও জ্বালানী তেলবাহী ট্যাংক। বাঘাবাড়ী বন্দরে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, প্রায় দুই মাস যাবত বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ না আসায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে নানা কষ্টে দিন জীবন যাপন করছি। এই বন্দরে আসে জ্বালানি তেল পাথর কয়লা কৃষকের সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না আসতে পারলে বন্দরে পুরো উত্তরবঙ্গ অচল হয়ে পড়বে।