রাশেদুল হাসানঃ লক্ষ্মীপুর জেলা চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ১২ নং চরশাহী ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র দাশের হাট।এ বাজারে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার ক্রয়-বিক্রয়।সাপ্তাহে দুইদিন বাজার মিলে এ বাজারে।এছাড়াও প্রতিদিন বাজারে বহু লোকজন আসা যাওয়া করে।সড়কের পাশে নালার দূগর্ন্ধে লোকজন আসতে সমস্যা হয়।
এ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের আসা যাওয়া করতে হয়।এছাড়া রুপাচরা সফিউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ শত ছাত্র ছাত্রী।দাশের হাট হামেদিয়া আলেম মাদ্রাসায় প্রায় ১২শত ছাত্র-ছাত্রী,জনতা ডিগ্রি কলেজের প্রায় ৫শত ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে প্রতিদিন হাজারও মানুষের চলাচল করতে হয়।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ময়লার দুর্গন্ধে তারা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।বাজার পরিচালনা কমিটির সাথে বার বার কথা বলেও কোনো ফলাফল আসেনি। প্রতি বছর সরকারি বরাদ্দ বাজার উন্নয়নের জন্য আসলেও ময়লার স্তুপটি সরানো হচ্ছেনা।বাসা-বাড়ির ময়লার লাইন আর বাজারের ময়লার লাইন একই হওয়ার কারণে ময়লা পানি নালায় আসে,দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে ও জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
এবিষয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ১২ চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রাজুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,বিষয়টি আমার জানা আছে,আমি সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছি।উপজেলা থেকে যে বরাদ্দ আসে তাদিয়ে কাজ করা যাবেনা,এখানে বড় বরাদ্দ লাগবে।এবছরে স্বর্ণকার গলি পোস্ট অফিস পর্যন্ত সিসি ডালাই করছি। ইনশাআল্লাহ আগামি ২০ দিনের ভিতর এ ড্রেনের কাজও ধরবো।যতটুকু পারি কাজ কমপ্লিট করব এবং জলাবদ্ধতা ক্লিয়ার করে দেব।
বাজার কমিটির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন,প্রতি বছর বাজার ইজারার টাকা থেকে ১৫% বাজার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।প্রতি বছর বাজার ইজারা হয় ৪০ লক্ষ টাকা।১৫% করে বছরে ৬ লক্ষ টাকা।কিন্তু সে টাকা কোথায় যায় আমরা জানিনা। সেইটা সভাপতিও জানেনা।নালা উন্নয়নের কাজ ধরলে আমরা সভাপতিকে সহযোগিতা করবো।