মিনহাজুল হক বাপ্পী, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট আদিতমারী থানা ভেলাবাড়ী বাজারের পাশের লিচু বাগানের সাথে মূক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের ছেলে পলাশকে পিটিয়ে ফোলা ফোলা জখম করেছে বাদশা চকিদার। পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, লিচু বাগানের পাহারাদাররা মাঝে মাঝে ডেরায় কৌশল খেললে কজন পুলিশকে দেখে আমি ওয়াজ করি পুলিশ চলে গেছে পালাইয়া যাও বলার সঙ্গে সঙ্গে কেউ না ধরলেও চকিদার আমাকে ধরে মারধর করে , পলাশ জানান, তার কাছে কোনো টাকা নেই। পুলিশ ও চকিদার তল্লাশি চালিয়ে আশ্রয় ডেরাতে একটি তাস ও একজনের কাছ থেকে ৭০ টাকা পেলেও অবশিষ্ট দের কাছে কোন টাকা পয়সা ছিল না। এদিকে পুলিশের এক সদস্য বলেন, এখানে কোনো বড় খেলা নয়, ভুল সংক্রমণ ছিল। তবে বাদশা চকিদার রাগ মেটাতে পুলিশকে তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে মারধর করেন পলাশ সহ ৬ জনকে ।
আহতদের মধ্যে একজন বলেন
পচাপাগলা ভিক্ষুরের ৯ বছরের ছেলেকে মারধর করে আমার মনেহয় বাদশা চকিদারের পূর্ব শত্রুতা আছে । কিভাবে একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা চেষ্টা করা হয়, তারা মানুষ না পশু! বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও বাদশা চকিদার ফেনসিডিল , মাদক, গরুর লাইনম্যান, গরু ধরা ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ভারতীয় পাচারকৃত গরু ফেরত দেওয়া,জুয়ার বোর্ড এক জায়গায় ধোয়া করে আরেক জায়গায় বসানো , জুয়া খেলাসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত তবে করো অজানা নয়।
লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার ২নং ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের বাদশা চকিদার সাথে ০১৭২২৩০৫৩৬... মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, শিশুটির ব্যবহার খারাপ।
বাগান পাহারাদার শাহ আলম জানান মনে হয় কোনদিন লিচু খেতে এসেছিল দেওয়া হয়নি সেজন্য এমনটি করেছে এবং আজ পুলিশ সহ এসে আমাদেরকে মেরে অন্যপাশের লিচু চুরি করেছেন।
এলাকার এক যুবলীগ নেতা জানান, শিশুটি খারাপ হলেও ছোট পুলিশ দেখে চিৎকার করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু বাদশা চকিদারের উচিত হয়নি তাদের মারধর করা। নিজের স্বার্থে কাজ করে এমন অপকর্মের প্রতিবাদ জানাই।
কয়েকদিন আগে ভারত থেকে আসা নয়টি গরু মধ্যে তিনটি উদ্ধার করে বিজিবি বাকি ছয়টি গরু আত্মসাতের চেষ্টা করেছিল। এলাকাবাসীর জন্য পারেননি তবে অবশিষ্ট ছয়টি গরু ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে ওসি-এসআইয়ের নাম ভাঙিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। তবে ঐ গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে জুয়া, মদ ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার শত শত অভিযোগ উঠেছে ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা এখনো কোনো মামলা বা অভিযোগ করেননি।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি মোঃ মোক্তারুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেননি বা কেউ কোনো অভিযোগ করেননি তবে কোনো পুলিশ সদস্য এ ধরনের ভুল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গ্রাম পুলিশের অনেক অভিযোগ শুনেছি।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।