বান্দরবান সদর হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান অবস্থায় চিকিৎসকের ভুলের কারনে সিজার করা অবস্থায় নবজাতক শিশুর মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহত শিশুর স্বজনরা।
বান্দরবান জেলা সদরের হাফেজ গোনা,৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পিংকি,স্বামী – মাহবুব আলম,২৬শে এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৯ টায় সদর হাসপাতালে প্রসুতি মা পিংকিকে সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়,ভর্তির পর হতে কয়েক দফা স্বাভাবিক প্রসব করার জন্য চেস্টাও করেছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।
স্বাভাবিক প্রসব না হওয়ায় ২৭শে এপ্রিল রাত ৯টায় অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের জন্য প্রসুতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।১.৩০ অপারেশনের পর মিনিট অপারেশনের দায়িত্বে থাকা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও গাইনি বিভাগের ডাঃ চিম্রাসাং মারমা প্রসুতির পেটের বাচ্চাকে মৃত বলে স্বজনদের জানায়।
বাচ্চার স্বজনরা বাচ্চা দেখার পর তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখলে সন্দেহ করে এবং ভুল অপারেশনের কারনে বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করে।
এদিকে এ ঘটনার পর সদর হাসপাতালে নবজাতকের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে জড়ো হয়।
সংবাদ পেয়ে সদর হাসপাতাল পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জিত নন্দী এবং সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে জেলা প্রশাসক মৃত নবজাতকের বাবাসহ স্বজনদের অভিযোগ শোনেন।
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারনে সুস্ট তদন্তের ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন নিহতের স্বজনদের।
মৃত নবজাতকের বাবা রাজমিস্ত্রী মাহাবুব আলম বলেন, চিকিৎসকের ভুলের কারনে আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যা।
চিকিৎসকরা আমাদের কোন পূর্ব সতর্কতার কথা বলে নি,সবকিছুই স্বভাবিক থাকার পরে কিভাবে এমন হলো।আমরা এর সুস্ঠ বিচার দাবী করছি।
ঘটনার পর ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম বাচ্চু ঘটনাস্থলে আসেন তিনিও বলেন নবজাতকের এ ধরনের মৃত্যু কাম্য নয়,এ ঘটনার সুস্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মূল বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরা উচিত।