শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
ঘোড়ার গাড়িতে ঝাঁকঝমক বিদায় — প্রিয় শিক্ষক আনিসুর রহমানকে ময়মনসিংহের অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে —হাসান মামুন জলঢাকায় ‘আটাশ অক্টোবর’ স্মরণে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নওয়াপাড়া এলাকায় র‍্যাব-৭ এর বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আশুগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাচালানকৃত বিদেশী সিগারেট উদ্ধার; ০৩ চোরাচালানী গ্রেফতার: বগুড়া শেরপুর নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে ১,৫০,০০০/- (দেড় লক্ষ টাকা) জরিমানা… মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭ দিন পর হাত–গলা বাঁধা শিশুর লাশ উদ্ধার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ কর্তৃক ০৪(চার) কেজি গাঁজা উদ্ধার; ০২ মাদক কারবারী গ্রেফতার: ধোবাউড়ায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ যশোর সদর উপজেলায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী গ্রেফতার । ঝিনাইদহে ধানের আইলে কৃষকের নিথর দেহ, রহস্যজনক হত্যা। হরিনাকুন্ডুতে নতুন (ইউএনও) যোগদানে বিরোধিতা স্থানীয় শিক্ষার্থী ও বৈষম্য আন্দোলনকারীর মানববন্ধন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন ব্রাহ্মণহাট সিদ্ধাশ্রমঘাট সংলগ্ন হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। হরিপুর ইউনিয়নে খাস জমি দখলমুক্তে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান: গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা ঝিনাইদহে মামলার বাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক, মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। যশোরে যুবলীগের মিছিলের ব্যানার তৈরির সময় গ্রেপ্তার ২ মাধবপুরে তেলিয়াপাড়া চা বাগান এলাকা থেকে ১৪০ বোতল ভারতীয় এসকাফ সিরাপ উদ্ধার, এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মরহুম মীর আনাম আলী ও আনোয়ারা মোতালেব স্মৃতি সংসদ’র উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল শিবগঞ্জে যুবদ‌লের প্রতিষ্ঠাবা‌র্ষিকী‌ উপলক্ষে র‍্যালী ও পথসভা

বিআরটিএতে দালালি ও অপকর্মে আনসার কমান্ডার ফারুক জড়িত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ১১২ বার পঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার খাইরুল ইসলাম

রাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ অফিসে দালালদের পাশাপাশি অপকর্মে জরিত নিরপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার মো. ফারুক।

তার সদস্য বাহিনীরা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সপ্তাহে দাললদের জন প্রতি ৫০০ টাকা করে নেয় এই আনসার কমান্ডার। দালালদের নিয়ন্ত্রন করে দালালদের কাছ থেকে মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন পিসি মো: ফারুক । এবং নিজস্ব আনসার সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনে গাড়ীর কাগজ – পত্র ঠিক করার মাধ্যমে সদস্যদের কাজ থেকে প্রতিদিন ১০ /১২ হাজার করে নিয়ে থাকেন বলে তাদের অভিযোগ। নাম না প্রকাশে শর্তে একজন দালাল বলেন, আমরা ৮০থেকে ৯০ জন মিলে এখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করি। এই কাজের বিনিময়ে আনসার কমান্ডারকে মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা দিতে হয়।

এই টাকা গুলো আনসারের এপিসির এর কাছে দিতে হয়। দালাল আরো বলে, টাকা না দিলে আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে বা কাজ করতে দেয় না।এবং আমাদের লকাপে ভরে রাখে, এবং জেল এর ভয় দেখিয়ে জরিমানার নাম করে মোটা আংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পিসি মো. ফারুক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও এইসব কাজে জড়িত। ৩০ জন আনসার সদস্য এখানে রয়েছে। এমনকি আনসার সদস্যরা প্রতিদিন কাজ করে। তারা হলেন, মো:হানিফা,মো:আনিছ,মো:রশিদ,মো:হাচানূর,মো:সেলিম, মো:আতিকুর,মো:আলিম,মো:সাজ্জাদ, সহ আরো অনেক সদস্যরা বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে একে পর এক কাজ করে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমরা বেশী একটা কাজ করতে পারি না। তার পরও আনসার কমান্ডারকে সপ্তাহ হিসেবে বা মাস হিসেবে টাকা দিতে হচ্ছে।

কাজ হক বা না হক টাকা পরিশোধ করতেই হবে।বিআরটিএ অফিসে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, বাধ্য হয়ে নিতে হয় দালাল বা আনসার সদস্যদের সহযোগিতা।বর্তমানে সাবেক অনসার সদস্য ৪০ থেকে ৫০ জন প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে। এবং প্রতি সপ্তাহে জন প্রতি কমান্ডার কে দিচ্ছে ১০০০ হাজার টাকা করে। বুধবার সকালে মিরপুর বিআরটিএ অফিসের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কথা হয় অনেকের সঙ্গে। এ সময় ভুক্তভুগী মেহেদী হাসান, নয়ন, মাসুদ, ও জামান একই অভিযোগ করেন। ভুক্তভুগীদের অভিযোগ, একদিকে আসতে হয় অনেক দূর থেকে, রাস্তায় থাকে যানজট শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ হওয়ায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ডিজিটাল নাম্বর প্লেট লাগাতে হচ্ছে মোটরসাইকেলে। বিআরটিএ অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল থাকার পরেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

একদিকে থাকে পেটের চিন্তা অন্যদিকে ডিজিটাল নাম্বর লাগাতে হবে, অন্যথায় ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্নভাবে হয়রানি করবে এবং মামলা দেয়। এক সপ্তাহ যদি এভাবেই সময় যায় তাহলে পেটের চিন্তা করব না ডিজিটাল নাম্বর প্লেট লাগাব? এমন অনেক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিজিটাল নাম্বর প্লেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এবং ট্যাক্সটোকেন নিতে পড়তে হয় বিভিন্ন ভোগান্তিতে। দালাল ধরলে এ সব আগেই সুন্দর মতো এবং সঠিক সময়ে পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী এ সব সেবা নিতে গেলে সময় ও কর্ম দুইটোই নষ্ট হচ্ছে। বিআরটিএ অফিসে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় এবং নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।

পেশাদার ট্রাক চালক জাবেদুল ইসলাম বলেন, বিআরটিএ-এর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল এবং আনসারদের মধ্যে যোগসাজশের কারণে সেবাগ্রহীতাদের এ সব ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।ভোক্তভুগীরা বলছেন, দালাল ছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করাটাও যেন এক ধরনের পাপ। বিআরটি এর সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ে নিতে হয় দালালের সহযোগিতা। দালাল আর টাকা ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না।মোহাম্মদপুর থেকে বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডেলিভারি নিতে এসেছেন মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ। তিনি প্রায় তিন ৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স হাতে পান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই টাকা দিয়ে আগেই নিয়েছেন।তিনি বলেন, আর কত কষ্ট দেবে বিআরটিএ। আমাদের সেবামুখী মানুষদের। রাস্তার গাড়ির কাগজ পত্র ঠিক না থাকলে পুলিশ হয়রানি করে। আর বিআরটিএ কাগজ সঠিক সময়ে না দিয়ে আরেক ভোগান্তিতে ফেলে।এদিকে দালাল, টাউট ও প্রতারক হতে সাবধান’। এমন সতর্কবার্তা সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়বে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পবিরবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গেট দিয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই। শুধু প্রবেশ ফটকেই নয়, এমন সতর্কবার্তা লেখা আরও অনেকগুলো সাইনবোর্ড সাঁটানো আছে মিরপুর বিআরটিএ এর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে দেয়ালে। কিন্তু এই সতর্কবার্তাকে ছাপিয়ে, বলা যায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দালালদের দৌরাত্ম্যই পুরো বিআরটিএ ঝুরেই।

দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুই আনসার সদস্য ফারুক ও সেলিমকে বদলি করা হলেও এখনো বহলতবিয়তে রয়ে গেছে আনসার কমান্ডার ফারুক এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তার দালালি বাণিজ্য দালালদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991