মোহাঃ মাইনুল ইসলাম লাল্টু সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত সৈনিক রইসউদ্দিনের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের ছায়া। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রইসউদ্দিনের মৃত্যুর খবরে এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। ২০১৫ সালের জুনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র সৈনিক পদে যোগ দেন। বর্তমানে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গত সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায় তাদের হেফাজতে। চাকরির ৮ বছরের মাথায় বিএসএফের গুলিতে জীবন দিতে হলো সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ২৫ বছর বয়সী এই সৈনিককে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার ও তার স্বজনরা। নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, বিয়ের অল্প সময়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে বিধবা হতে হলো। সন্তানদের কি বুঝ দিব আমি! আর আমি বা কিভাবে দুই সন্তান নিয়ে জীবন যাপন করব। বিলাপ করতে করতে তিনি এমন হত্যাকান্ডের কঠোর বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, দায়িত্বে যাবার সময় মুঠোফোনে সবশেষ একবার কথা হয়েছে। আর কোনদিন কথা হবে না। দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান নিহতের স্ত্রী। এ সময় তার স্বজনরা তাকে বার বার শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। কোলে ছিলেন পাঁচ মাসের শিশু। এদিকে ওদিক ছোটাছুটি করছিলেন রইসউদ্দিনের বড় মেয়ে রাফিয়া। সোমবার ভোরে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনয়ান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এই সৈনিকের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।