সবুজ সাহাঃ দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই অাইল দিয়ে চলাচল করতেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করতেন সড়ক বিহীন চিহ্নহীন রাস্তা দিয়ে।দেশ স্বাধীন হলেও দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য চরম দুর্ভোগের স্বীকার হয়েছেন আদর্শ ও সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা।
রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় দাবি উঠলেও তা কেবল জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।
অবশেষে ৭নং চর রমিজ ইউনিয়ন পরিষদের নবাগত সদস্য নেছার উদ্দিন কাভিখা বরাদ্দে দুইগ্রামবাসী চলাচলের জন্য কাঁচা রাস্তা তৈরী করে দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকাকরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে বলেন, আদর্শ গ্রাম থেকে বকশী সড়ক পর্যন্ত কোনো রাস্তা ছিল না। সামান্য জমির আইল দিয়ে দুই গ্রামের প্রায় ৫হাজার বাসিন্দারা যাতায়াত করতাম। শিক্ষার্থীরাও জমির আইল দিয়ে চলাচল করতেন। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি। আমরা ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় রাস্তাটি নির্মানের দাবি জানিয়েছিলাম। মেম্বার কথা রেখেছেন। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরের মাথায় দেড় কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তা পেয়েই খুশি আমরা। অন্তত চলাচলের চরম দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়া গেলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই গ্রামের মধ্যকার চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা ছিল না। গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য প্রায় দেড় কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটি শুধু চলাচলে যতটুকু সুযোগ হয়েছে, তার চাইতে দুগ্রামের আন্ত সম্পর্ক বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
ইউনিয়ন পরিষদের নবাগত সদস্য নেছার উদ্দিন জানান রাস্তাটা দুগ্রামের জনগণের জন্য অত্যান্ত জরুরী তাই আমার প্রথম কাজ এই রাস্তা দিয়ে শুরু করেছি।দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকাকরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে আমি সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছি।