গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃগা
জীপুরে শ্রীপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছিলো এক কলেজ ছাত্রী। ১১দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে তিন নারী সহ ৫ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় বাড়ির আঙ্গীনায় ফেল চলে যাচ্ছিলেন তারা। ওই ছাত্রীর বড় বোনের অভিযোগ প্রেমিক জাহাঙ্গীরের লোকজন তাকে খাবার না দিয়ে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে।
প্রেমিক মো. জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মোহাম্মদ ছাত্তার ঢালীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে।
বিয়ের দাবীতে ওই ছাত্রী (৬ মে) বিকেলে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অবস্থানন নেয়। এসময় জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে পালিয়ে কর্মস্থলে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাড়ি একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে। তিনি ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল বিএম কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তাঁর বোনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেন।
ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, অষ্টম শ্রেণীতে পরার সময় জাহাঙ্গীর ওই ছাত্রীন সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে। ‘দীর্ঘ ৫ বছর ধরে জাহাঙ্গীর প্রেমের সম্পর্ক চালাছে। হঠাৎ করে জাহাঙ্গীর ওই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ওই ছাত্রী জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম জানান, বিষয়টি সমাধান করতে বিয়ের ব্যবস্থা করে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর রাজী হয়নি তাই বিয়ে পরানো হয়নি।
ভূক্তাতভোগীর পরিবার জানায়, ১১দিন ধরে ওই ছাত্রী জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ছিল। তাকে ঠিকমতো খাবার দেয়নি।শারিরীক মানসিক ভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়। ঘরথেকে বের করেদেয়া হয়। ১১দিন পর মঙ্গলবার বিকেল জাহাঙ্গীরের ফুফু পরিচয় দেয়া দুই নারী স্হানীয় ধামলই বাজারের কামাল ডাক্তার সহ ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তাকে বাড়ির আঙ্গীনায় ফেলে রাখে। রাত পৌনে আটটারদিকে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় দের মাধ্যমে ভিকটিমকে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই মেয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় কিছু মানুষ মেয়েকে দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের বিচারের বাইরে। ভূক্ত ভোগীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।