গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রিশাত মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে অনশন করছেন কুড়িগ্রামের তরুণী (১৯)। প্রেমিক রিশাতকে পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে রেখেছেন বলে দাবি মেয়েটির।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাত মাস আগে গাজীপুরে কাজ করতে গিয়ে ভাড়া বাসায় পরিচয় হয় ওই দুজনের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা দুজনকে আটকের পর কাশিমপুর থানায় জানান। পরে প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে স্থানীয় কয়েকজনের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর রিশাত মিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে চলে আসেন। মোবাইল ফোনে তরুণীকে তার বাড়িতে আসতে বলেন। তখন এ তরুণী ভাড়া বাড়ির মালিককে জানান। তিনি কাশিমপুর থানাকে জানিয়ে জিম্মাদার দুজনকে তরুণীর সঙ্গে রিশাতের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘রিশাত আমাকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে আসতে বলেছে। আমি আসার পর তাকে তার পরিবারের লোকজন লুকিয়ে রেখেছেন। এখন পর্যন্ত রিশাতের বাড়িতে অবস্থান করছি। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না।’
এ বিষয়ে রিশাতের বাবা আতোয়ার রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে কোথায় আছে জানি না। সে এলেই বিয়ের ব্যবস্থা করবো।’
তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আমিনুল বসুনিয়া বলেন, ‘মেয়েটার সঙ্গে রিশাতের বিয়ে হওয়ার কথা চলছে। মেয়ের পরিবারের লোকজনকে আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’
তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। ছেলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ‘আমি তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। দুই পরিবারের সঙ্গে বসে মীমাংসাও করার পরামর্শ দিয়েছি। তবে এ নিয়ে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
সূত্রঃ ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা।