বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ন
ঘোষনা
নীলফামারীতে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড নওগাঁ ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ৩০ বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে নীলফামারীতে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিবগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে আর্থিকচেক প্রদান ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাংলাদেশের যেসব জায়গায় ক্ষতি হতে পারে রিকশার দৌরাত্ম্য রোধে মিরপুরে ট্র্যাপার বসাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ মানবিক করিডোরের নামে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যা দেশের জন্য হুমকি স্বরুপ – আমিনুল হক আওয়ামী যড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না – আমিনুল হক গোমস্তাপুরে সমলোয় চাষাবাদের লক্ষ্যে কম্বাইন হার্ভে স্টার যন্ত্র দ্বারা ধান কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন ও মাঠ দিবস ভারত থেকে সুন্দরবনে পুশইন করা ৭৮ জনকে মোংলায় হস্তান্তর

বোরহানউদ্দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৩৪ বার পঠিত

এম এ আশরাফ, স্টাফ রিপোর্টারঃ সারা দেশে ইলিশ প্রজন্ম ধরার ওপরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে মেঘনা নদীতে রাতের অন্ধকারে ইলিশ ধরছে একশ্রেণির অসাধু দূর্বৃত্তরা।

স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার তাদেরকে ম্যানেজ করে বোরহানউদ্দিন মেঘনার নদীতে চলছে মা ইলিশ ধরার মহোৎসব। প্রভাবশালী জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। উপজেলার সেন্টার খাল, আলিমুদ্দীন, স্রোজগঞ্জ, হাকিমুদ্দিন, হাসান নগর ও মির্জাকালু সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অসাধু জেলেরা জাহাঙ্গীর মাঝির কারসাজিতে নদীতে দ্রুতগামী নৌকা পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলেরা জানান,প্রায় প্রতিনিয়ত নৌকা দিয়ে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছে কালু মাঝি, দুলাল মাঝি, বাচ্চু মাঝি, মানসুর মাঝি, মনির মাঝি, রহিম মাঝি সহ ১৫/২০ টি নৌকা। যখন প্রশাসন টহল থেকে উপরে উঠে তখনি জাহাঙ্গীর মাঝি ফোন করলে নৌকা নদীতে যায় এবং তাদের সাথে লোকেশন শেয়ার করে। যার ভাগ আইনশৃঙ্খলা হতে শুরু করে মৎস্য অফিসের কর্মচারীরা পায়। তারা আরো জানান, নৌকা পাঠাতে হলে নৌ-পুলিশের সাথে কন্টাক্ট করে মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করতে যাইতে হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নিধোজ্ঞা চলবে আগামী ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত।
মা ইলিশকে স্বাচ্ছন্দে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই এ সময়ে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী, সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশ আহরণে বিরত থাকা সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলেদের সরকার খাদ্য সহায়তা হিসেবে দিছে ভিজিএফ চাল।
কিন্তু সরকারের এতসব উদ্যোগের পরেও রাতের অন্ধকারে দেশের মেঘনাসহ বিভিন্ন এলাকার নদীতে চলছে মা ইলিশ শিকার। দিনের বেলা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও রাতে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নদীতে যায় না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জাকালু নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, অভিযানের এই কয়দিন নদীতে কোনো নৌকা নাই। নৌকা ধরার তো কোনো প্রশ্নই আসেনা
বোরহানউদ্দিন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) আলী আহম্মদ আকন্দ জানান, মৎস্য অফিসের জাহাঙ্গীর মাঝি যদি নৌকা পাঠায় তাহলে ধরে ফেলেন। তাছাড়া ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সোর্সকে খবর দিলে তারা সর্তক হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, যদি নৌকা নদীতে যায় তাহলে মৎস্য অফিসে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991