মোঃ রুবেল সিনিয়র রিপোর্টার:
খালের বেইলি ব্রিজে উঠলেই ঝাঁকুনি!
জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড এলাকার,লম্বাবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বেইলি ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ব্রিজ দিয়ে দুইটি চা বাগানে বাণিজ্যিক জনপদ এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাফেরা করে। ব্রিজের ওপর হালকা যানবাহন উঠলেই ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। বেইলি ব্রিজটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। সেতুটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে গুরুত্ব পূর্ণ ব্রিজটি । এখন এর পাটাতনে মরিচা ধরে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক গর্ত। এছাড়া রেলিং অত্যন্ত জরাজীর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় নাজুক ওই ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারীদের পাশাপাশি শত শত হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। বাড়াচ্ছে আরও বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
ভুক্তভোগীরা জানান, বেইলি ব্রিজটি পাশে অবস্থিত লম্বাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় এর শত শত শিশু শিক্ষার্থী ওই ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন শিক্ষার্থীর ব্রিজের ফাঁটলে পা আটকে যায়। আহত হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর সহ পথচারী।
স্থানীয়রা আরো জানান, এই ব্রিজ দিয়ে সুজানগর, লম্বা বিল, নতুন চা বাগান, বদল্লেখীল, হাইট্টাকু গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ওই ব্রিজ ব্যবহার করে থাকেন। জনবহুল গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কার না করায় যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
পথচারী লোকমান হোসেন জানাই , প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে, নজর নেই কারও। এইটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, যদি ভেঙ্গে যায় হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধ হয়ে পড়বে। এ ব্রিজটা ছাড়া অন্য কোন আর বিকল্প ব্রিজ নেই।