সঞ্জয় দাশ স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) এঁর নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সম্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে । অবৈধ মাদকমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে আসছে।
যশোর কোতয়ালী থানাধীন বানিয়ারগাতী সাকিনস্থ ইউনুস আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০) তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুন (২৪) কে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ভারতে নিয়ে যায় ইং (১৫ এপ্রিল)।
পরবর্তীতে (৮ মে) স্বামী কামরুল ইসলাম দেশে ফিরলেও স্ত্রী সালমা খাতুন ফিরে না আসলে, সালমা খাতুনের পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খারাপ আচরন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম (১১ মে) কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করে। কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২৫ তাং-১১/০৫/২০২২ ইং ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮/৯/১০(১)/১৪।
ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার) পিপিএম রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিম উদ্ধারের নিমিত্তে কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম তদন্তে নামে। এবং জানতে পারেন যে, ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সালমা খাতুনকে হত্যা করে কামরুল দেশে এসে পালিয়ে আছে। অতঃপর মামলার তদন্তকারী এস আই বিমান তরফদারের অধিযাচনের প্রেক্ষিতে ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর নির্দেশে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে থানা ও ডিবির একটি চৌকশ টিম অদ্য (১২ মে) রাত ১২ টার সময় কোতয়ালী থানাধীন বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারকারী সালমা খাতুনের স্বামী কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুনকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনান্দ্ব জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটক রাখে। এবং বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সেখানে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট থেকে
৩টি পাসপোর্ট,ভিকটিম সালমা খাতুনের পাসপোর্ট ও সালমা খাতুনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।