নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- রংপুর জেলার তাজহাট থানার ভুরারঘাট এলাকার টি এম এক্স ইট ভাটায় ভেতর স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলছে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা।
দীর্ঘদিন যাবত পুরাতন ব্যাটারি সংগ্রহ করে, ভেতর থেকে প্লেট বের করে আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে আসছে।
এই সিসা তৈরির চুল্লির বিষাক্ত ধোয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বিষাক্ত এসিড থেকে সদ্য বের করা ব্যাটারীর আগুনে জ্বালানো কালো ধোঁয়ায় আশেপাশের প্রায় ৩ থেকে ৪ কি. মি. এলাকার জমির ধান, ফলদ বৃক্ষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঝরে পড়ছে গাছের ফল। ফলে পরিবেশে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এই সিসা তৈরির কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ সাইফুল ইসলাম চারু।
জানা যায়,এই সিসা তৈরির কারখানার কারণে এর বিষক্রিয়ায় পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ছে ও বিষাক্ত ধোয়ার প্রভাবে শিশুদেরকে জীবনভর শিক্ষা গ্রহণে অসামর্থ্য করে তোলা এবং তাদের স্বাস্থ্য বিকাশে মারাত্নক প্রভাব পড়ছে।
বাতাসে আবাসস্থলের কাছাকাছি এলাকায় সিসা-এসিড ব্যাটারির অবৈধ পুনর্ব্যবহারকে সিসার সংস্পর্শে আসার একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। এমনকি বিষাক্ত ধোয়ায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন রাত্রি ০৯.০০ ঘটিকা হইতে ভোর ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কাজ করে, তখন এসিডের ঝাঁজালো গন্ধে আশেপাশের গ্রামের বাড়ির ভেতরে থাকা লোকজনের চোক-মুখ জ্বালা শুরু করে।
নিঃস্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয় এই দুষিত ধোঁয়ার কারণে প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছে আশেপাশের গ্রামের শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে স্বাস কষ্টসহ বিভিন্ন রোগে।
এ ব্যপারে গণমাধ্যম কর্মীরা কারখানার মালিক সাইফুল ইসলাম চারুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কারখানার ধোঁয়ার কারণে একটু আকটু ক্ষতি হয়,তাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই কাজ চালাই।
ভুরারঘাট হাট এলাকার মোঃ রবিউল ইসলাম,চাঁন মাহমুদ,সজল শেখ, শহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে বলেন, ব্যাটারি থেকে সিসা তৈরির কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় গবাদি পশু ও মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে জমির ধান ও বিভিন্ন জাতের ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সিসা তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন তিনি।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী অতি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই সিসা তৈরির কারখানাটি গুরিয়ে দিতে রংপুর জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।