বিজয় বাইন ভোলা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
ভোলায় জোর করে অবৈধভাবে জমি দখল করার জন্য সেই জমিতে থাকা কবরস্থানের প্রাচীর ভাঙচুর করেছেন মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে মোঃ কবির হোসেন ও মোঃ বশার গংরা। এছাড়াও জমির মালিক কে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর মাতাব্বর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই কবরস্থানটি জাহাঙ্গীর মাতাব্বরের নিজের ক্রয়কৃত জমি, সেখানে তার পারিবারিক কবরস্থান করে সেখানে তার বাবা-মাকে দাফন করা হয়। যা বিগত ৫০ বছর ধরে কবরস্থান হিসেবে তাদের দখলে আছে। ওই কবরস্থান এর রাস্তার সাইটে পাকা প্রাচীর বেষ্টিত। দীর্ঘদিন থেকে কবির গংরা কবরস্থান এর ওই জমি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছিলো। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই জমি জবরদখল করতে আসেন কবির হোসেন ও তার বোন জামাই বশার এবং তার মা হনুফা বেগম। খবর পেয়ে স্থানীয় সালিশদাররা ঘটনাস্থলে এসে কেন কবরস্থানের প্রাচীর ভাঙ্গা হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত কবির গংরা মারমুখী হয়ে সালিশদারদের মারতে যায়। এ অবস্থা দেখে স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা সবাইকে অশালীন গালমন্দ করেন ও জমির মালিককে হত্যার হুমকি দেয়। তখন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার বিষয়টি টের পেয়ে ছটকে পড়েন অভিযুক্ত কবির গংরা। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জাহাঙ্গীর মাতাব্বর ও তার পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা নশু মাতাব্বর বলেন, কবরস্থান দখলের ঘটনাটি নিয়ে এর আগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার ফয়সালা করে দিলেও কবির গংরা তা অমান্য করে কয়েক দিন পরপর এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে হনুফা বেগম বলেন, আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়নি, তাই কবরস্থান ভেঙেছি এখন ফয়সালা হবে।
এ বিষয়ে ঘটনা স্থলে আসা ভোলা সদর মডেল থানার এসআই ওয়াসিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কবরস্থানের প্রাচীর ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। পরবর্তীতে কবির গংদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা এটি ভেঙ্গেছে বলে স্বীকার করে। যেহেতু তারা স্থানীয়ভাবে ফয়সালা মানে না সেহেতু উভয়পক্ষকে আইনের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।