স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (৪জানুয়ারি) ভবানীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তাকেসহ সন্দেহজনক আরো দু’জনকে আটক করেছে বলে জানান দৌলতখান থানার এসআই (নিঃ) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন। পরে দু’জনের স্বীকারোক্তি নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটককৃত জঙ্গি মোঃ রাজু সিকদার (২৪) বরিশাল বন্দরের সাহেব হাট উপজেলার চরকাউয়া নয়ানীর ১নং ওয়ার্ডের মোঃ আবুল কালাম সিকদার ছেলে।
এসআই (নিঃ) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন জানান, দৌলতখান থানা এলাকায় জরুরী ডিউটি কালীন সময় নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন আনসার আল-ইসলাম” এর এক জন সদস্য দৌলতখান থানাধীন ভবানীপুর ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থান করেছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। উক্ত নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে উর্দ্ধাতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং দৌলতখান থানাধীন ভবানীপুর এলাকায় পৌঁছে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর সন্ধান করতে থাকেন। গত বুধবারে তিনি ও ফোর্সসহ দৌলতখান থানাধীন ভবানীপুর ৭নং ওয়ার্ডস্থ দৌলতখান লঞ্চঘাট লঞ্চ টার্মিনালে উল্লিখিত আসামিকে পেয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং সে পালানোর চেষ্টা সময় ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থলেই মালামালসহ “মুহাম্মদ রাজু, (রাসুল আমার নেতা)” নামক ফেসবুক আইডিতে তারা মোবাইলে লগইন অবস্থায় মোবাইলসহ তাকে আটক করেন। সে উক্ত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে স্বীকার করেন। এছাড়া তার কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠনের আরো কিছু আলামত পাওয়া যায়।
দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্যকে আটক করেছে এবং সন্দেহ জনক আরো দু’জন আটক করি। দু’জনের স্বীকারোক্তি নিয়ে জঙ্গি সংগঠনের কোন সত্যতা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।