এটিই দেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সুর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। তাই ২১ শে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি সামনে ফাল্গুনের শুভেচ্ছার ছুটি আর সাপ্তাহিক ছুটি তো আছেই সব মিলিয়ে রূপ যৌবনে ভরা কুয়াকাটা লম্বা ছুটির অবসরে এই সাগর তীরে চলে আসেন ভ্রমণ প্রিয় মানুষের ঢল। এবারে এই ছুটিতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এরইমধ্যে কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক, ২০ ই ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যটকরা ঘিরে রেখেছে সমুদ্র সৈকত। আর পর্যটকদের বরণে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে হোটেল-মোটেলগুলো। পাশাপাশি তাদের পক্ষ দেয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ সুবিধা। এবং পর্যটকদের জন্য সমুদ্র পথে ভ্রমণের জন্য রয়েছে নানা পরিকল্পনা। মহামারী করোনাভাইরাসে অনেকদিন যাবত ঘর বন্দী থাকায় অস্থির ছিল ভ্রমণ পিপাসুরা। লম্বা ছুটিতে ঘর বন্দী থেকে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে চলে এসেছি সমুদ্রের পাড়ে।
মূলত কুয়াকাটা পর্যটকদের কাছে সাগর কন্যা হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এটিই বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটিই দেখা যায়। এছাড়া পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ থাকে লাল কাকড়ার চর, গঙ্গামতি, লেম্বুরবন কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দিরসহ এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রতি। পাশাপাশি এখানকার রাখাইন বাজারের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণও থাকে বেশ। এবং সমুদ্রপথে সুন্দরবনের পূর্ব অংশ ফাতরার বন, চর বিজয় আমন্ত্রণ জানাতে ব্যস্ত অতিথি পাখি।
Leave a Reply