সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাকিল খান রাজু:
ভোলার মনপুরা উপজেলার ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত গৃহবধূ তানিয়া আক্তার (২৩)-এর পরিবার দাবি করেছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সজীব হোসেনকে মনপুরা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তানিয়ার মা মাইনুর বেগম জানান, “আমার জামাই সজীবের সাথে তাহের ফিটারের মেয়ের সম্পর্ক ছিল। আমার মেয়ে এই বিষয়ে জানতে পেরে স্বামীর মোবাইলে ছবিসহ প্রমাণ পায়। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে সজীব আমাদের সামনেই তানিয়াকে মারধর করে। পরে আমরা মাফ চাইয়ে তানিয়াকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসি।”
তবে ১০ জুন, মঙ্গলবার তানিয়া সন্তানসহ বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর থেকে সজীব প্রায়ই এসে ঝগড়া ও গালিগালাজ করত। ঘটনার দিন ১৬ জুন রাত ১টার দিকে নাতির কান্না শুনে মেয়ের রুমের সামনে যান মাইনুর বেগম। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তানিয়ার হাঁটু ভাঙা ছিল এবং সজীব তখন পাশেই ঘুমিয়ে ছিলেন বলে দাবি পরিবারের।
চিৎকার শুনে তানিয়ার বাবা ইউনুস এগিয়ে এলে সজীব পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে মনপুরা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সজীবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতার পরিবার মনে করে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনপুরা থানা সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।