সাম্প্রতিক সময়ে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে মম রহমান নামক এক কথিত সুরকার এবং গায়কের গান নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তার গাওয়া এবং সুরারোপিত গানগুলোতে ব্যবহৃত ভাষা ও কনটেন্ট নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত, ভাইরাল ব্যক্তিত্ব হিরো আলম, বিভিন্ন ব্লগার কাপল এবং সর্বশেষ লায়লাকে দিয়ে তৈরি করা তার গানগুলোর মান এবং নৈতিকতার অভাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। একের পর এক বিতর্কিত এবং নিম্নমানের কনটেন্ট প্রকাশ করে তিনি যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন গানপ্রেমীরা ।
মম রহমানের গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন কনটেন্ট, যা বর্তমান প্রজন্মের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। শুধু তাই নয়, তিনি অন্য শিল্পীদের সম্মানিত সৃষ্টিকর্মকেও বিকৃতির মাধ্যমে উপস্থাপন করছেন। রবীন্দ্র সংগীত এবং কাজী নজরুলের কালজয়ী গানের মাধুর্য বিকৃত করে নতুন মিউজিকের সাথে মিলিয়ে তা অন্য কণ্ঠশিল্পীদের দিয়ে গাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে অনেকে সংস্কৃতির প্রতি এক ধরনের অসম্মান হিসেবেই দেখছেন।
তার নিজস্ব সুর করা গানগুলোও সমালোচনার বাইরে নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার সুর এবং কথা এক ধরনের নিম্নরুচির প্রতিফলন ঘটায়। নৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের বিচ্যুতি ঘটিয়ে সমাজে এক ধরনের নেতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে তার তৈরি গানগুলো। এই ধরনের গানগুলো তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং সঠিক নৈতিক শিক্ষা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই ধরনের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
শিল্পের স্বাধীনতা থাকা উচিত, তবে সেটি সমাজের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক মাপকাঠি মেনে চলা উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।